লালমনিরহাটে ৫ মাসেও ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ সংস্কার হয়নি

0
279

আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনিরহাট ॥ গত জুলাই-আগস্ট মাসের বন্যায় লালমনিরহাটে রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে রক্ষা পায়নি ধরলা নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধটি ১০ কি. মি.। বাঁধ ভেঙ্গে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী, নদীগর্ভে ঘর-বাড়ি, ফসলি-জমি তছনছ হয়। কিন্তু বন্যার মৌওসুম শেষ হওয়ার দীঘ ৫মাস পেরিয়ে গেলেও সেই ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ সংস্কার করা হয়নি।
জানা গেছে, তিস্তা ও ধরলার কোল ঘেঁষা লালমনিরহাট। ফলে জুলাই-আগস্ট মাসের বন্যায় জেলার রাস্তা-ঘাটসহ হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নে অবস্থিত ধরলা নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধটিও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ১৮ কি.মি. বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১০ কি. মি. এলাকাই ক্ষতিগ্রস্থ। মাঝে মাঝে নেই বাঁধের কোনো চিহ্ন। বন্যার সময় বাঁধ ভেঙ্গে এলাকার হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী, নদীগর্ভে অসংখ্য ঘর-বাড়ি, ফসলি-জমি তছনছ হলেও বন্যার দীঘ ৫মাস পেরিয়ে গেলেও সেই ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ সংস্কার করা হয়নি। অসিত্বহীন বাঁধটি পুননির্মাণ কাজ শুরু না হওয়ায় শঙ্কায় রয়েছে স্থানীয়রা। কেবল বন্যার আশঙ্কাই নয়, ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধের কারণে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জেলা সদরসহ ৪টি উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। এ অবস্থায় বন্যা হলে বড় ক্ষতি ও হুমকির মধ্যে পড়তে হবে উপজেলাবাসীকে।
গড্ডিমারী ইউনিয়নের জাকির হোসেন বলেন, জরুরী ভিত্তিতে বাঁধ ঠিক না হলে, আমরা তো আগামী বর্ষা বাদলে পানিতে হাবুডুবু করবো। বর্ষা বাদলে ছাড়াও মাঝে মধ্যে হঠাৎ নদীতে পানি বাড়লে তা কষ্ট বেড়ে যায়। বন্যা তো অবস্থা খুব খারাপ হবে।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, টেন্ডার ও ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়েছে শিগগিরই বাঁধ সংস্কার কাজ শুরু হবে। এলাকাবাসীর চিন্তার কোন কারণ নেই।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here