আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনিরহাট।। লালমনিরহাটে ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী মৌসুমী আক্তার নারগিস (১৬), কে অপহরণের ২ মাস পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে অপহরীতার মা ববিতা খাতুন নিরুপায় হয়ে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে ৩জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় চাপারহাট ইউনিয়নের উত্তর বত্রিশ হাজারী গ্রামের মৃত জাকির হোসেন মেয়ে মৌসুমী আক্তার নাগিস। স্থানীয় চাপাহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন নিয়মিত ছাত্রী। প্রায়দিনে স্কুল যাওয়ার পথে মৌসুমীকে উত্ত্যক্ত করতো একই এলাকার বখাটে যুবক আমিনুর (১৯), আব্দুল্লাহ্ (২৫), শহিদুল্লাহ্ (২৮)। বিষয়টি মৌসুমী তার বিধবা মাকে জানালে তিনি স্হানী মহৎ ব্যক্তিদের জানান। এতে বখাটেরা ক্ষিপ্ত হয়ে মৌসুমীকে অপহরণের হুমকি দেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টায় চাপারহাট ফেডারেশন থেকে প্রাইভেট শেষে মৌসুমী বাড়ি ফেরার পথে উল্লেখিত বখাটেরা জোর করে অজ্ঞাত স্থানে তুলে নিয়ে যায়। তার বিধবা মা অনেক খোঁজ করে মেয়েকে না পেয়ে কালীগঞ্জ থানা এজাহার দায়ের করেন। এজাহার দায়ের পর দীঘদিন অতিবাহিত হলেও অপহরীতার মা ববিতা খাতুন নিরুপায় হয়ে লালমনিরহাট বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে ৩জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এতে অভিযুক্তরা হল, উত্তর বত্রিশ হাজারী এলাকার মনতা মিয়ার পুত্র আমিনুর (১৯) ও আব্দুল্লাহ্ (২৫), একই এলাকার মৃত তৈয়ব আলীর পুত্র শহিদুল্লাহ্ (২৮)। যার মামলা নং- নারী ও শিশু (পিটিশন) ৭৭/২০১৮।
অপহরীতার মা ববিতা খাতুন জানান, ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রাইভেট শেষে মৌসুমী বাড়ি ফেরার পথে উল্লেখিত বখাটেরা জোর করে তুলে নিয়ে যায়। পরে কালীগঞ্জ থানা এজাহার দায়ের করেন। এজাহার দায়ের পর মৌসুমীকে উদ্ধার দুরের কথা এজাহার রের্কড ভুক্ত করা হয়নি। তখন থেকে আজ পর্যন্ত আমার মেয়ে নিখোঁজ।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন বলেন, স্কুল ছাত্রী অপহরণের বিষয়ে আমি থানায় কোন অভিযোগ পাইনি।
খবর৭১/এস: