লালমনিরহাটে বৃদ্ধাকে বেঁধে মারধর, বাড়ি ভেঙ্গে নিয়ে গেল গ্রাম পুলিশ

0
326

আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় জমি সংক্রান্ত জেরে আবিরন বেওয়া (৫৬) নামে এক অসহায় বৃদ্ধাকে বাঁশের সাথে বেঁধে ঘর-বাড়ি ভাঙ্গচুর করে সব মালামাল নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই বৃদ্ধা বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এর আগে রোববার দুপুরে আহত বৃদ্ধা আবিরন বেওয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শনিবার সকালে জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউপির ছিট জমগ্রাম এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ওই বৃদ্ধা উপজেলার ছিট জমগ্রাম এলাকার মৃত আ: সামাদের স্ত্রী। এদিকে ঘটনার পর থেকে এ ঘটনায় জমির মালিক আবু সাঈদের স্ত্রী আয়শা বেগম ও তার শিশু সন্তান ইয়াসিনকে নিয়ে রাত থেকে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।
জানা গেছে, পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউপির ছিট জমগ্রাম এলাকার মৃত আ: সামাদের ছেলে আবু সাঈদ একই গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে শাহিন মিয়ার কাছ থেকে তিন বছর আগে ৭ শতক জমি ক্রয় করেন। ক্রয় সুত্রে বসতঘর নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছেন তারা। কিছু দিন যাওয়ার পর শাহিন মিয়ার অন্য দাগের ৭ শতক জমি বিক্রয় করছেন বলে ক্রেতা আবু সাঈদের নিকট দাবী করেন এবং জমিতে বসতঘর উচ্ছেদ করার হুমকি দেন। এ ঘটনায় আবু সাঈদ বসতবাড়ি রক্ষায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী নারগিস আক্তার (২৩) জানান, শনিবার সকালে হঠাৎ চারজন ইউপি চৌকিদার ও কিছুলোক বাড়িতে গিয়ে কোন কথা না বলে ঘর ভাঙ্গা শুরু করেন। এ সময় আবু সাঈদের মা বৃদ্ধা আবিরন বেওয়া তাদের বাঁধা দিলে তাকে বাঁশের সাথে বেঁধে মারধর করেন। পরে ঘর ভেঙ্গে ট্রাক্টরে সব মালামাল তুলে নিয়ে যায়। আবু সাঈদের স্ত্রী আয়শা বেগম (২০) বলেন, শাশুড়িকে রেখে বাহিরে গেলে তারা পরিকল্পিত ভাবে চৌকিদার ও শাহিনের লোকজন ঘর ভেঙ্গে জিনিসপত্র, টাকা পয়সা সবকিছু নিয়ে যায়। অভিযুক্ত শাহিন মিয়া বলেন, আমি ঘর ভাঙ্গিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্দেশে চৌকিদাররা ঘর ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। আবু সাঈদ বলেন, আমার আহত মাকে নিয়ে আমি রংপুর হাসপাতালে আছি। এখান থেকে গিয়ে আমি আদালতে মামলা দায়ের করব।
বাউরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বসুনিয়া দুলাল জানান, ওই পরিবারকে বাড়ি না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলাম। আমার চৌকিদাররা ওই ঘরের মালামাল ইউনিয়ন পরিষদের জমা দিয়েছে। বৃদ্ধাকে বেঁধে রাখার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
পাটগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক ফিরোজ কবির জানান, এ ঘটনা আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
খবর ৭১/ এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here