লালমনিরহাটে গৃহবধুর মৃত্যু নিয়ে ধ্রুমজাল

0
481

আসাদুল ইসলাম সবুজ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি : লালমনিরহাটে লায়লা বেগম (১৯) নামের এক গৃহবধুর মৃত্যু নিয়ে ধ্রুমজালের সৃষ্টি হয়েছে। নানা জল্পনা আর কল্পনায় কেউ বলছে, শ্বাসরোধ করে হত্যা আবার কেউ বলছে হার্ড ষ্টোক করে মৃত্যু হয়েছে। অবশেষে রোববার (১৭ডিসেম্বর) লাশ ময়নাতদন্ত শেষে আদিতমারী উপজেলার সরল খাঁ বাবার বাড়ীর পারিবারিক কবরস্থানে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে।
জানা গেছে, লালমনিরহাট শহরের বিডিআরহাট (পানির ট্যাংক) সংলগ্ন এলাকার আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক লাল মিয়ার পুত্র সুমন (২৬) এক বছর আগে প্রেম করে আদিতমারী উপজেলার সরল খাঁ এলাকার মৃত্যু রতন মিয়ার কন্যা লায়লা বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবন সুখে কাটছিল। ইতোমধ্যে ওই গৃহবধু লায়লা ৯মাসের অন্তসত্ত্বা হয়। সে অসুস্থ্ হলে গত ১৫ ডিসেম্বর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরদিন ১৬ ডিসেম্বর সকালে হার্ড ষ্টোকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ওই হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারের স্বাক্ষরিত (মৃত্যুর প্রমান পত্র) সুত্রে জানা যায়।
এদিকে গৃহবধু লায়লা বেগমের চাচা কাজল মিয়া গৃহবধুর ওই স্বাভাবিক মৃত্যুকে হত্যা হিসেবে দাবী করে লালমনিরহাট সদর থানায় রোববার (১৭ ডিসেম্বর) স্বামী সুমনকে অভিযুক্ত করে একটি এজাহার দায়ের করেন। পুলিশ এজাহার আমলে নিয়ে লায়লা বেগমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
সুমনের পিতা লাল মিয়া বলেন, আমার ছেলে ও লায়লা দু’জন দুজনকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য জিবন সুখে কাটছিল। লায়লা অসুস্থ্য হলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। আমার ছেলের নামে হত্যার অভিযোগ মিথ্যা, সাজানো ও ষড়যন্ত্র বলে তিনি জানান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আলমগীর জানান, লাশের সুরতহাল রিপোর্টে হত্যার কোন আলামত পাওয়া যায়নি। তবে লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচাজর্ (ওসি) মাহফুজ আলম এজাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here