রোনালদোর হ্যাটট্রিকে স্পেনকে রুখলো পর্তুগাল

0
365

খবর ৭১ঃ  স্পেন-পর্তুগালের দ্বৈরথের উত্তেজনা সেই প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বকাপের ‘পয়সা উসুল’ ম্যাচই মঞ্চায়িত হলো সোচিতে। যেখানে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর হ্যাটট্রিকে স্পেনের বিপক্ষে ৩-৩ গোলে ড্র করে মাঠ ছেড়েছে পর্তুগাল।

চতুর্থ মিনিটে পেনাল্টি গোলে রোনালদো এগিয়ে নেন বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়নদের। তবে ২৪ মিনিটে চমৎকার এক গোলে স্পেনকে সমতায় ফেরান ডিয়েগো কোস্তা। কিন্তু বিরতিতে যাওয়ার আগমুহূর্তে গোলরক্ষক দাভিদ দে গেয়ার ভুলে আবারও পিছিয়ে পড়ে স্পেন। পর্তুগিজদের দ্বিতীয় গোলটিও আসে রোনালদোর পা থেকে। দ্বিতীয়ার্ধে কোস্তার দ্বিতীয় গোলের পর নাচোর লক্ষ্যভেদে উল্টো জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে যাচ্ছিল স্প্যানিশরা। কিন্তু রোনালদো তা হতে দেননি, ৮৮ মিনিটে তিনি হ্যাটট্রিক পূরণ করলেন স্পেন ও পর্তুগাল পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে।

ম্যাচ ঘড়ির চতুর্থ মিনিটেই পর্তুগালের গোলোৎসব। রোনালদোর পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। পর্তুগিজ অধিনায়ককে তার রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ নাচো নিজেদের সীমানায় বাধা দিতে গিয়ে করে বসেন ফাউল। তাতে রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি। স্পট কিক থেকে পাওয়া সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুল হয়নি রোনালদোর। ঠাণ্ডা মাথায় লক্ষ্যভেদ করে পর্তুগালকে এগিয়ে নেন তিনি।

সমতায় ফিরতে উঠেপড়ে লাগে স্পেন। আক্রমণের পর আক্রমনে ব্যস্ত রাখে ২০১০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা পর্তুগিজ ডিফেন্ডারদের। সুযোগও পেয়ে যায় ২৪ মিনিটে। পর্তুগাল ডিফেন্ডারদের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ‘লা রোহাদের’ সমতায় ফেরান কোস্তা।

তবে বিরতিতে যাওয়ার আগে আবার পিছিয়ে পড়ে স্পেন। পর্তুগালের হয়ে স্কোরশিটে আবারও নাম তোলেন রোনালদো। এই গোলে রিয়াল মাদ্রিদ তারকার যতটা না অবদান, তার চেয়ে বড় ভুল স্প্যানিশ গোলরক্ষক দে গেয়ার। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে রোনালদোর বাঁ পায়ের শট এসেছিল তার সোজা। কিন্তু নিচু শট গ্রিপ করতে ব্যর্থ হলে বল জড়িয়ে যায় জালে। তাতে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ইউরো চ্যাম্পিয়নরা।

বিরতির পর পাল্টে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। কোস্তার দ্বিতীয় গোলে স্পেন শুধু সমতায় ফেরে না, নাচোর দুর্দান্ত ভলিতে প্রথমবারের মতো লিডও নেয়। অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদে ফিরে দারুণ এক মৌসুম পার করা কোস্তা জাতীয় দলেও তার প্রয়োজনীয়তা বোঝালেন। প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও স্প্যানিশদের সমতায় ফেরালেন ব্রাজিলে জন্ম নেওয়া এই স্ট্রাইকার। দাভিদ সিলভার নেওয়া ফ্রি কিক সের্হিয়ো বুশকেৎসের হেড হয়ে আসে গোলমুখে জায়গা করে নেওয়া কোস্তার সামনে। ফাঁকা গোলপোস্টের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৫৫ মিনিটে স্পেনকে খেলায় ফেরান অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ স্ট্রাইকার।

সমতায় ফেরার উল্লাস শেষ হতে না হতেই আবার গোলোৎসব ২০১০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। পর্তুগালের এগিয়ে যাওয়ার পথে যে ভুলটা করেছিলেন নাচো, তারই প্রায়শ্চিত্ত করলেন অসাধারণ এক গোল করে। বক্সের বেশ খানিকটা বাইরে থেকে ভলিতে করেন দেখার মতো এক গোল। তার ডান পায়ের বুলেট গতির শট পোস্টে আঘাত করে জড়িয়ে যায় জালে। ২০১০ সালের বিশ্বকাপের পর ফুটবল মহাযজ্ঞে এটাই বক্সের বাইরে থেকে স্পেনের প্রথম গোল।

ওই গোলে জয়ের স্বপ্নও দেখছিল স্পেন। কিন্তু ৮৮ মিনিটে রোনালদো তার জাদুকরী ফ্রি কিকে তা হতে দেননি। বক্সের বেশ খানিকটা বাইরে থেকে নেওয়া বাঁকানো ফ্রি কিকে হ্যাটট্রিক পূরণ করে পর্তুগিজদের এনে দেন মূল্যবান ১ পয়েন্ট।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here