খবর৭১ঃ জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০ এপ্রিল তাকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুদক উপপরিচালক সৈয়দ আহমদ তাকে নোটিশ পাঠান।
দুদক সূত্র জানায়, সরকারি টাকা আত্মসাৎ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
গত ২৮ এপ্রিল রুহুল আমিন হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তলবি নোটিশ স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ।
এর পরই দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জানান, এই স্থগিতাদেশের ফলে রুহুল আমিন হাওয়াদারের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান কার্যক্রম চালাতে আর বাধা নেই।
গত ২৮ মার্চ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে তলব করে দুদক। তাকে ৪ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়।
গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর রুহুল আমিন হাওলাদারকে চিঠি পাঠিয়ে তাকে ১৮ সেপ্টেম্বর দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ততা ও অসুস্থতার কারণে হাজির হননি রুহুল আমিন হাওলাদার। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ব্যক্তিগত উপস্থিতি ও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে তিনি দুদকে চিঠি পাঠান।
২০১৪ সালে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়টি আমলে নিয়ে রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়। পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৭ সালে নতুন করে অনুসন্ধান শুরু হয়।
দুদক সূত্রে জানা যায়, রুহুল আমিন হওলাদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আছে। সরকারি সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।