রুমায় প্রবঞ্চক শিক্ষক সরকারি বেতন ভোগ করে, কর্মসংস্থানে থাকছেন না!

0
471
রুমায় প্রবঞ্চক শিক্ষক সরকারি বেতন ভোগ করে, কর্মসংস্থানে থাকছেন না

খবর৭১ঃ

বান্দরবান প্রতিনিধিঃ বান্দরবানে রুমার পাইন্দু ইউনিয়নে প্রাংসা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ঞোহ্লামং মারমা কয়েক মাস যাবৎত বিদ্যালয়ে আসেন নি, বিদ্যালয়ে আসলে কোন মাসে ৫দিন কোন ২দিন এভাবে চালিয়ে সরকারি বেতন ভাতা তুলে নিচ্ছে। অথচ তার উপর পদক্ষেপ নিচ্ছে না রুমা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা।

তিনি যখনই বিদ্যালয়ে যান,তখনই অনুপস্থিতির দিনগুলো একসাথে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে নেন। বিদ্যালয়ে নিয়মিত অনুস্থিতির ব্যাপারে কেউ বললে তুমুল বির্তকে জড়িয়ে পড়েন সবার সাথে। অভিযোগ দিলেও তাঁর বিরুদ্ধে কিছুই হবে না,এমন হুঙ্কার প্রভাব দেখিয়ে দেন এসএমসি’র সভাপতিকেও। এতে এসএমসি’র সভাপতি ও অভিভাবকেরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। টানা অনুপস্থিতির কারণে নিয়মিত পাঠ গ্রহণ থেকে বঞ্চিত বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষাথীর্রা,এইসব অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বান্দরবানে রুমার পাইন্দু ইউনিয়নে পলি প্রাংসা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অংচসিং মারমা বিদ্যালয়ে দায়িত্ব থাকলেও,তিনি তার সহকারিকে পরার্মশ ও জোরদার করতে পারছেন না। কারন সহকারি ঞোহ্লামং তার নিজের গ্রাম ও স্থানীয় বাসিন্দা হিসেবে প্রভাব দেখিয়ে দিন কাটে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক(অংচসিং মারমা) সূত্রে জানান, সহকারি শিক্ষক(ঞোহ্লামং মারমা) পলি প্রাংসা পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা। কিন্তু তিনি নিজের এলাকার উন্নয়নে,শিক্ষাথীর্দের সুশিক্ষিত হাওয়ার ব্যাপারে ভালো-মন্দ কোন ভাবে কয়েক মাস যাবৎত উদ্যোগ নিচ্ছে না।

মাসের পর মাস আমাকে সব বিষয়ে সামলাতে হয়। ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ৪০-৫০জন,সহকারি শিক্ষক দুইজন,তার মধ্যে আর একজন শিক্ষক তো কোন দিন আসেন নি বলে দৈনিক আজকের বিপ্লবী বাংলাদেশ পত্রিকার বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি একান্ত সাক্ষাৎতে তিনি এ কথা জানান। তিনি সংবাদকর্মীদের আরও জানান, আমি রুমায় স্থানীয় বাসিন্দা না হাওয়ার ঐ প্রতিষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হলেও তার প্রতি চাপাচাপি করার আমার একার পক্ষে অসম্ভর হয়ে পরেছে। গোপন সূত্রে জানা যায়,তিনি বিদ্যালয়ে না এসে বিভিন্ন রাস্তায় মোটর সাইকেল ভাড়া চালিয়ে রোজগার করে থাকে। গত কয়েকবার বিদ্যালয়ে সরেজমিন গিয়ে দেখা মেলেনি,সে ফাঁকিবাজ শিক্ষকের চেহারা। তিনি সারাটা মাস গুলো পরিবারের সাথে দিন কাটিয়ে মাস শেষে সরকারি বেতন তুলে নিচ্ছে। এ বিষয়ে শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা অঞ্জন চক্রবর্তী বক্তব্যের বলেন, সে ফাঁকিবাজ শিক্ষকের বিষয়ে আমারও জানা আছে,তবে পাড়াবাসীদের অভিযোগ না থাকাতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারছি না।

তবে অভিযোগ আসলে তার ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১নং পাইন্দু ইউপি সদস্য ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার(উচথোয়াই মারমা) সূত্রে জানায়, ৫-৭বছর আগে পলি প্রাংসা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম সরকারি নিয়োগ প্রাপ্ত সহকারি শিক্ষক (ঞোহ্লামং মারমা)হিসেবে বিদ্যালয়ে অবস্থান করার সময় তিনি বিদ্যালয়ে উন্নয়ন মূলক কাজে যথাযথ দায়িত্ববান হিসেবে কাজ করেছিলেন। শিক্ষাথীর্দের পড়াশুনা,খেলাধুলা ও শরীরচর্চ্চাসহ বিদ্যালয়ে বিশেষ ভাবে অবদান রেখেছেন। কিন্তু তিনি এ কয়েকমাস ধরে বিদ্যালয়ে আসেন নি কোনদিন। অথচ হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে মাস শেষে বেতন তুলে নেন। তিনি আরো জানান, সহকারি শিক্ষকটি ঐ পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা হাওয়ার ভালো মন্দ কোন কিছু বলতে পারছি বলে সংবাদকর্মীদের মাঝে দু:খের প্রকাশ করে।

এ বিষয়ে পাড়াবাসীদের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা বলেন, তিনি তো আমাকে পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা এবং সহকারি শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে আছে। তবে,একটা দু:খের বিষয় হল, আমরা অনেকবার দেখা হলে জিজ্ঞাসাবাদ করি,আপনি এ কয়েক মাস যাবৎত বিদ্যালয় আসে না কেন? তিনি উত্তর দেন, আসব আর কি। আসবে আসবে বলে এমনটা দিনগুলো ফাঁকি দিয়ে এড়িয়ে যান। এসএমসি সভাপতি সূত্রে জানায়, আমরা তার ব্যাপারে অনেকবার বিদ্যালয়ে মত বিনিময় সভা তুলে ধরেছি এবং বিদ্যালয়ে আসার জন্য অনুরোধও করেছি,তবে তিনি আমার কথাগুলো শুনে এড়িয়ে যান। তার বিষয়ে শীঘ্র শিক্ষা বিভাগে অভিযোগ পত্র দাখিল করে যথাযথ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। প্রবঞ্চক শিক্ষকের (ঞোহ্লামং মারমা) সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, কোন ভাবে তার নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারি নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here