খবর৭১ঃকক্সবাজারের চকরিয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চাহিদামতো টাকা দিতে না পারায় নাছিমা আক্তার (১৯) নামে এক রিকশাচালকের স্ত্রীকে গত ৩ দিন ধরে আটক রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে ওই গৃহবধূর স্বামী মো. শফিক স্থানীয় সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
পৌর শহরের ‘ইউনিক হাসপাতাল (প্রা.)লিমিটেড’ নামে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিলের জন্য তার স্ত্রীকে আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন শফিক।
পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৈরভাঙ্গা গ্রামের মোস্তাক আহমদের ছেলে রিকশাচালক মো. শফিক জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসে তার স্ত্রী নাছিমা আক্তার পা পিছলে পড়ে আঘাত পান।
তাকে চিকিৎসার জন্য চকরিয়া পৌর শহরের চিরিঙ্গায় ইউনিক হাসপাতালে ভর্তি করান। ওই হাসপাতালে নাছিমা আক্তারের একটি পা অপারেশন করতে হয়েছে। অপারেশনের কয়েক দিন পর নাছিমা ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। ওই সময় তার কাছ থেকে চিকিৎসা ও সিট ভাড়া বাবদ প্রায় ৭০ হাজার টাকা আদায় করে হাসপাতালটি।
গত কয়েক দিন আগে নাছিমাকে আবারও ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ১ জানুয়ারি তাকে ছুটি দিয়ে ছাড়পত্রও দেয়া হয়।
এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার কাছ থেকে আবারও ১৮ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু দরিদ্র রিকশাচালক মো. শফিক ওই টাকা দিতে না পারায় গত ৩ দিন ধরে তার স্ত্রীকে হাসপাতালে আটকে রাখা হয়েছে।
ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবিকৃত পুরো টাকা না পেয়ে রোগীকে হাসপাতালেই আটকে রেখে দেন।
এ ব্যাপারে চকরিয়া ইউনিক হাসপাতাল (প্রা.)লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আক্তার আহমদ জানান, ওই টাকা শুধুই একজন চিকিৎসকের নয়, একটি পুরো টিমের পাওনা টাকা। ওই টাকা থেকে কিছু টাকা ছাড় দিয়ে বাকি টাকা দিলেই তাকে যেতে দেয়া হবে।
রিকশাচালক মো. শফিক জানান, তিনি সুদে ১০ হাজার টাকা ঋণ করে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তারপরও পুরো টাকার জন্য বৃহস্পতিবারও তার স্ত্রীকে আটকে রেখেছে।
খবর৭১/ইঃ