খবর ৭১ঃ
রাজধানীর প্রগতি সরণি সড়কে বেপরোয়া চালকের বাসচাপায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নিহতের প্রতিবাদে ও নিরাপদ সড়ক দাবিতে শুরু হয়েছে ছাত্র আন্দোলন।
রাজধানীসহ মঙ্গলবার সকাল থেকে দুর্ঘটনার পর থেকে সড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
বুধবার ভোর থেকে সড়কে দুয়েকটি বাস চললেও সেই বাসগুলোতে ওঠতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।
ভোর থেকে বাস চলাচল সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য বেরিয়েও গণপরিবহন কম থাকায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক-বীমায় কর্মরত হাজার হাজার মানুষকে। দুয়েকটি বাস চললেও অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে সেগুলোতে উঠতে পারছেন না।
অনেকে রিকশা, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে করে ভেঙে ভেঙে অফিসে যাচ্ছেন। কিন্তু চাহিদার তুলনায় এসব যানবাহন কম থাকায় বেশি ভাড়া দাবি করা হচ্ছে। তারপরও অফিস ও গন্তব্যে পৌঁছাতে রাজি হচ্ছেন নগরবাসীরা। কিন্তু যাত্রীর চেয়ে যানবাহন কম হওয়ায় হুড়োহুড়ি পড়ে যাচ্ছে।
ভোর থেকে মিরপুর-১, ১০ ও ১১, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া, পল্লবী ও কালশী সড়কে লাইসেন্সধারী গণপরিবহন দুয়েকটি চলছে। মগবাজার, মৌচাক, শান্তিনগর ও মালিবাগের সড়কগুলোতে গণপরিবহন কম দেখা গেছে। মহাখালী, গুলশান, বনানী, তেজগাঁও, নাবিস্কো, রামপুরা ও বাড্ডা এলাকার কোনো সড়কেও গণপরিবহন কম ছিল।
রাজধানীর প্রগতি সরণি সড়কে বেপরোয়া চালকের বাসচাপায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নিহতের হওয়ার ঘটনায় সংগঠিত সড়ক অবরোধ মঙ্গলবারের মতো স্থগিত করে শিক্ষার্থীরা।
তবে আজ সকাল ৮টা থেকে আবারও আন্দোলন শুরু করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।