রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে কখনো এমন নজিরবিহীন নির্বাচন হয়নি

0
311

খবর৭১ঃ বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নজিরবিহীনভাবে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচন করেছে সরকার। তাই আমরা এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছি। আবার নির্বাচন করতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে কখনো এভাবে নজিরবিহীনভাবে নির্বাচন হয়নি।’

সোমবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে ভোট ডাকাতি করে বিএনপিকে হারানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কিত নির্বাচন।

অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘কাল (রোববার) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগে থেকেই এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। নির্বাচনের আগেই আসন ধরে ধরে ভৌতিক মামলা হয়েছে। সেই মামলা ধরে ধরে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই মামলায় বিরোধী দলকে আটকানোর জন্য গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করা হয়েছে। সারা দেশে সরকার রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস শুরু করে। এর মাধ্যমে গোটা দেশে ভীতির পরিবেশ তৈরি করে। এমন নির্বাচন অতীতে আর কখনো হয়নি এ দেশে। এমনকি সারা দেশে টার্গেট করে এজেন্টদের আটক করা হয়েছে। নির্বাচনের আগের দিন সন্ধ্যা থেকে জাল ভোট দিয়ে কারচুপি করা হয়েছে। এর সাথে র‍্যাব পুলিশ সহায়তা করেছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভোটের দিন সকালেও কেন্দ্র দখল করেছে। কিছু কেন্দ্রে ১১টা পর্যন্ত ভালো রেখেছে, কিন্তু যখন দেখল ভোটাররা বেরিয়ে আসছে তখনো সেটি দখলে নিয়েছে। এসব কাজে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো সহায়তা করেছে। তারা সব সময় বিরোধী দলকে তাড়ানোর কাজে নিয়োজিত ছিল। অনেক জায়গায় তারা আমাদের নেতাকর্মীদের গুলি করেছে।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া ২০১৪ সালে ভোটে না যাওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা সঠিক ছিল। এবার তা প্রমাণিত হয়েছে।’

এজেন্টদের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। এজেন্টদের যে তালিকার কাগজ ছিল সেগুলো ছিঁড়ে ফেলেছে। সিইসি এজেন্টদের বিষয়ে যা বলেছেন তা সঠিক নয়। আমাদের এজেন্টদের না আসতে দিলে আমরা কী করব?’

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘এ নির্বাচনে আগেই পরিকল্পনা করে রাখা হয়েছে। এ নির্বাচনে ভোট কারচুপির বিষয়টি আগে থেকেই ছিল পরিকল্পিত। ইঞ্জিনিয়ারিং করা হয়েছে ভোটের আগের রাতে। এ নির্বাচনে ভীতি ছাড়া কিছু ছিল না।’

সরকারে টাকায় বিদেশি পর্যবেক্ষক

এ নির্বাচনে জনগণকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এ নির্বাচনে কোনো বিদেশি পর্যবেক্ষক ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষকদের আসতে দেওয়া হয়নি। আর ইইউ তাদের কোনো পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। যারা এসেছে তারা সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত। সরকার নিজের টাকায় তাদের নিয়ে এসেছে।’
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here