রাণীনগরে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা : মূল হোতা পলাতক

0
279

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার করজগ্রাম বালিয়াপাড়া গ্রামের নবম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী (১৪) কে অপহরণ করে নিয়ে দুই দিন আটকিয়ে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে শনিবার রাণীনগর থানায় মামলা হয়েছে। অপহৃত ওই ছাত্রীর বড় ভাই বাদি হয়ে করজগ্রাম বালিয়াপাড়া গ্রামের মো: আব্বাস আলীর ছেলে ২ সন্তানের জনক মো: সিরাজুল ইসলাম ও তার চার সহযোগিকে আসামী করে রাণীনগর থানায় অপহরন মামলা দায়ের করেন। বিকেলে ওই ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে থানা পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকে ওই এলাকার মানুষের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

মেয়ের বাবা বলেন, আমার স্ত্রী দীর্ঘদিন যাবত অচল হয়ে বিছানায় পড়ে রয়েছে। আর আমি দিনমজুরের কাজ করি। তাই মেয়েকে অনেক সময় একাই স্কুলে যেতে হয়। ওই দিন স্কুল ছুটির পর মেয়ে বাড়ি ফিরে না আসলে আমরা চারদিকে ও মেয়ের বান্ধবীদের বাড়িতে খোঁজ করেও মেয়েকে পাই না। ওই দিন সন্ধ্যার সময় হঠাৎ করে সিরাজুল আমাকে ফোন করে বলে যে সে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে। সিরাজুলের কাছে ফোনে অনেক অনুরোধ করেও সে আমার মেয়েকে ওই দিন ফেরত দেয়নি। পরের দিন বিকালে সিরাজুল আমার মেয়েকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় গ্রামের রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে চলে যায়। এরপর সিরাজুলের অপর দুই ভাই গোপনে মেয়েকে আমার বাড়িতে ফেরত না দিয়ে তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে অনেক মারপিট করে। এরপর আমরা উপায় না পেয়ে থানায় একটি জিডি করলে থানা পুলিশ আমার মেয়েকে উদ্ধার করে। আমি গরীব মানুষ। আমি সিরাজুল ও তার দুই ভাইয়ের দৃষ্টান্তর মূলক শাস্তি চাই। তিনি আরও বলেন সিরাজুল কেন আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে গেলো তা আমার জানা নেই।

রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএসএম সিদ্দিকুর রহমান জানান, উপজেলার করজগ্রাম বালিয়াপাড়া গ্রামে গত ১৩ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে স্কুলে যাবার সময় আসামীরা ওই স্কুল ছাত্রীর পথরোধ করে একটি সিএনজিতে তুলে হাত মুখ বেঁধে অসৎ উদ্দেশের জন্য অপহরণ করে নিয়ে যায়। আসামীদের সহায়তায় অপহৃতা মেয়ের সম্পর্কে চাচা সিরাজুল ইসলাম অজ্ঞাত স্থানে আটকিয়ে রেখে ২ রাত কাটানোর পর সিরাজুৃল তাকে নিয়ে এসে গ্রামের সামনে রাস্তায় রেখে পালিয়ে যায়। সিরাজুল ইসলাম গ্রামে এসে মেয়েকে তার বাড়িতে দুইদিন আটকে রেখে নির্যাতন করে। এরপর মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় প্রাথমিক ভাবে জিডি করলে থানা পুলিশ গত বৃহস্পতিবার মেয়েকে সিরাজুল ইসলামের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসা ও বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য ডাক্তারের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। ডাক্তারের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই বলা যাবে মেয়েটি ধর্ষিত হয়েছে কিনা।

স্থানীয় ভাবে বিচার না পেয়ে গত শনিবার ওই ছাত্রীর ভাই বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন। আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশী তৎপড়তা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওসি সিদ্দিকুর রহমান।

এদিকে এই ঘটনার পর থেকে মূল আসামী মেয়ের চাচা সিরাজুল ইসলাম ও তার দুই ভাই পলাতক রয়েছে। এই ঘটনা ওই এলাকায় ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসীরা লম্পট ওই সিরাজুল ও তার দুই ভাইয়ের দৃষ্টান্তর মূলক শাস্তি দাবী করেছেন।#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here