রাণীনগরে বয়তুল্লাহ্ সেতুর সংযোগ সড়কের ধ্বস

0
243

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরে বয়তুল্লাহ্ সেতুটির রাণীনগরের অংশের প্রায় ৪শ’ মিটার সংযোগ সড়কের মধ্যে প্রায় ৮টি জায়গায় বড় ধরণের গর্ত হয়ে ধ্বস নেমেছে। রাতে-অধারে গাড়ি চলাচল করতে গিয়ে যে কোন সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে। রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার বান্দাইখাড়া নামক স্থানে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ডেপুটি স্পীকার মরহুম বয়তুল্লাহ্’র নামে এই সেতুটি নির্মিত করা হয়। সেতুটির নিমার্ণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা না হলেও এই জনপদের বসবাসকারী প্রায় লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জীবন-যাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে এই সেতুটি সর্ব সাধারণের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলাবাসির নিবির বন্ধনের এই সেতুটির দুই ধারের সংযোগ সড়কের বেহাল দশা। সংশ্লিষ্টদের যথাযথ নজরদারির অভাবে যে কোন সময় সড়কের মাটি ধ্বসে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে স্থানীয়রা আশংকা করছে।

দীর্ঘ ৩৪ বছর পর নওগাঁ-৬ (রাণীনগর-আত্রাই) আসনের সংসদ সদস্য মো: ইসরাফিল আলম নির্বাচিত হওয়ার পরে রাণীনগর উপজেলা সদর থেকে ১৪কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিনে রাণীনগর-আত্রাই উপজেলার আত্রাই নদীর মহনায় জামালগঞ্জ-বান্দাইখাড়া নামক স্থানে প্রায় ১০কোটি টাকা ব্যয়ে সাবেক ডেপুটি স্পীকার মরহুম বয়তুল্লাহ্’র নামে সেতুটি নির্মাণ করা হয়।

উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১২-১৩ অর্থ বছরে নওগাঁর সড়ক ও জনপদ বিভাগ হতে স্থানান্তরিত ১শ’ ৭৫মিটার আরসিসি গাডার ব্রিজের নির্মাণ প্রকল্পটি জিওবি তহবিলের আর্থিক সহযোগিতায় উপজেলা প্রকৌশলীর বাস্তবায়নে গত ১৬জুলাই ২০১২ইং তারিখে দরপত্রের বিজ্ঞতি প্রকাশের পরে বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলার সান্তাহার মহল্লার এস এন্ড এম জেভি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বতাধিকারী মো: সোহেল দরপত্রের শর্ত মোতাবেক জামালগঞ্জ-বান্দাইখাড়া নামক স্থানে আত্রাই নদীর উপরে প্রায় ১০কোটি টাকা ব্যয়ে “ডেপুটি স্পীকার মরহুম বয়তুল্লাহ্ সেতু” নির্মাণের কাজ পেলে ১০সেপ্টেম্বর ২০১২ইং তারিখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্য্য আদেশ দিলে যথা সময়ে সেতুটি নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে স্থাণীয় সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম এমপি জাঁকজমকপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্থ স্থাপনের শুভ উদ্বোধন করেন। স্থাণীয় উৎসাহী জনতা সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে চলাচলের জন্য আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই আনন্দ চিত্তে সেতুর উপর দিয়ে হালকা যানবাহনে চড়ে পায়ে হেঁটে চলাচল শুরু করে। পরবর্তীতে এই জনপদের বসবাসকারী প্রায় লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জীবন-যাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে এই সেতুটি উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কের বেহাল দশার কারণে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ।

রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী মো: শাইদুর রহমান মিঞা বলেন, সেতুটির সংযোগ সড়কের দুই পাশেই বৃষ্টির পানিতে মাটি গুলো সড়ে যাচ্ছে। যার কারণে সেতুর মুখে সংযোগ সড়কে বড় ধরণের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই সংযোগ সড়কটি মেরামতের জন্য প্রস্তাবনা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত মেরামত করা শুরু করা হবে।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here