রাণীনগরে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

0
271

সুকুমল কুমার প্রামানিক রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরে নাছিমা বেগম (৩২) নামে দুই সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে উপজেলার গোনা ইউনিয়নের ঘোষগ্রাম সৌদিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাণীনগর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সোমবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। গৃহবধুকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে গলায় দঁড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে এলাকায় ব্যাপক গুণঞ্জন চলছে।

জানা গেছে, উপজেলার গোনা ইউনিয়নের পিরেরা গ্রামের নবাব আলী ওরফে লবা সরদারের মেয়ে নাছিমা বেগমের সাথে ২০০৪ ইং সালে একই উপজেলার ঘোষগ্রাম সৌদিপাড়া গ্রামের আতুল প্রাং এর ছেলে মো: এলাহী বক্স এর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে এক মেয়ে জন্ম গ্রহণ করে। সম্প্রতি বেশ কিছু দিন ধরে অন্য এক মেয়ের সাথে এলাহী বক্সের সম্পর্ক গড়ে উঠলে গৃহবধু নাছিমা তা প্রতিবাদ করে। এ নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্ন্যের এক পর্যায়ে এলাহী তার স্ত্রী নাছিমাকে প্রায়ই মারপিট নির্যাতন করতো। এর ধারাবাহিকতায় রবিবার রাতে গৃহবধুকে বেধর মারপিটের এক পর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়লে এলাহী ও তার পরিবারের লোকজন কৌশলে গলায় রশি (দঁড়ি) দিয়ে ঘরের তীরের সাথে ঝুলিয়ে রেখে লোক দেখানোর ভান করে ওই দিন সকালে তারা গলা থেকে দঁড়ি খুলে চিকিৎসার নামে রাণীনগর হাসপাতালে নিয়ে যাইতে লাগলে পথেমধ্যেই আবার লাশটি বাড়িতে ফেরত নিয়ে যায়। এর পর থেকে গৃহবধুর স্বামী ও স্বামীর পরিবাবেবর লোকজন পলাতক।

গৃহবধুর বড় ভাই মো: আসাদুল ইসলাম জানান, আমার বোনকে তার স্বামী পিটিয়ে হত্যা করেছে তার পর গলায় রশি (দঁড়ি) দিয়ে ঘরের তীরের সাথে ঝুলিয়ে রেখে লোক দেখানোর ভান করছে। আগে থেকেই আমার বোনকে তারা নির্যাতন করতো। এখন তারা পলাতক। আমি এর সুষ্ট বিচার চাই।

এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি (তদন্ত) মো: তারেকুর রহমান সরকার বলেন, নাছিমা বেগমের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রির্পোট পেলে গৃহবধুর মৃত্যুর কারন জানা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা। এর পর আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। এছাড়াও পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here