রাজশাহী বোর্ডে শীর্ষে স্থানে জয়পুরহাট

0
253

এম এম আতাউর রহমান প্রতিনিধি,জয়পুরহাট:

এবারের এসএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী বোর্ডে সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছে জয়পুরহাট জেলার শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষা নগরীখ্যাত রাজশাহী জেলার শিক্ষার্থীরা রয়েছে আটের মধ্যে তিনে। রোববার দুপুরে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের সচিব অধ্যাপক তরুণ কুমার সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।
বোর্ডের সার্বিক ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, রাজশাহী বিভাগের আট জেলার মধ্যে পাসের হারে শীর্ষে উঠে এসেছে জয়পুরহাট জেলা। জেলার মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৮ হাজার ৫৮৮ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭ হাজার ৬১১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৯০ জন। ৮৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ ছেলে এবং ৯০ দশমিক ৪৩ শতাংশ মেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে এ জেলায়। হার ৯২ দশমিক ১২ শতাংশ পাসের হার নিয়ে গত বছর বোর্ডে দ্বিতীয় স্থানে জেলাটি।
এক ধাপ নেমে গত বছরের পাবনা জেলা এবার বোর্ডে দ্বিতীয় অবস্থানে। এখানকার পাসের হার ৮৮ দশমিক ২০ শতাংশ। এ জেলার মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ২৭ হাজার ৫১২ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৪ হাজার ২৫৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ১১ জন। এখানকার ৮৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ ছেলে এবং ৮৮ দশমিক ০৬ শতাংশ মেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। গত বছর এ জেলার পাসের হার ছিলো ৯২ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
৮৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হওয়ায় বোর্ডে তৃতীয় অবস্থানে শিক্ষা নগরীখ্যাত রাজশাহী। এখানকার মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৩১ হাজার ৯২৯ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৭ হাজার ৯৬৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৫৭৬ জন। রাজশাহীতে ৮৬ দশমিক ৪২ শতাংশ ছেলে এবং ৮৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ মেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। ৮৯ দশমিক ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হওয়ায় গত বছর বোর্ডে সপ্তমে ছিলো রাজশাহী জেলা।
এবার বোর্ডে চতুর্থ অবস্থানে নওগাঁ জেলা। এখানকার মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ২৪ হাজার ৭৯৭ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২১ হাজার ৬৪০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৩৩৭ জন। নওগাঁয় ৮৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ ছেলে এবং ৮৮ দশমিক ৪০ শতাংশ মেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। ৯০ দশমিক ৮৬ শতাংশ পাসের হার নিয়ে গত বছরও একই অবস্থানে ছিলো এ জেলা।
দুই ধাপ নিচে নেমে বোর্ডে পঞ্চম অবস্থানে বগুড়া জেলা। এখানকার ৮৬ দশমিক ৪১ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে এবার। এ বছর এ জেলায় মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৩৩ হাজার ৪৩৩ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৮ হাজার ৮৮৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৪৪ জন। বগুড়ায় ৮৫ দশমিক ৩ শতাংশ ছেলে এবং ৮৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ মেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। গত বছর ৯১ দশমিক ৩৪ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হওয়ায় বোর্ডে তৃতীয় অবস্থানে বগুড়া।
গত বছর বোর্ডে তলানিতে থাকা সিরাজগঞ্জ জেলা দুই ধাপ উপরে ওঠে এবার দাঁড়িয়েছে ষষ্ঠ অবস্থানে। এ জেলায় পাসের হার ৮৫ দশমিক ০৪ শতাংশ। এখানে মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৩২ হাজার ৯২৬ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৮ হাজার একজন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৫৬ জন। সিরাজগঞ্জে ৮৫ দশমিক ০১ শতাংশ ছেলে এবং ৮৫ দশমিক ০৮ শতাংশ মেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। গত বছর এখানকার পাসের হার ছিলো ৮৯ দশমিক ১৭ শতাংশ।
৮৩ দশমিক ১৭ শতাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হওয়ায় বোর্ডে সপ্তম অবস্থানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। এখানকার মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ১৫ হাজার ৪২৮ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১২ হাজার ৮৩২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ২০৫ জন। চাঁপাাইনবাবগঞ্জে ৮১ দশমিক ৯১ শতাংশ ছেলে এবং ৮৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ মেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ পাসের হারে গত বছর পঞ্চম অবস্থানে ছিলো এ জেলা।
ফলাফলে এবার বোর্ডের তালিকাতে নাটোর জেলা। এ জেলায় পাসের হার ৮২ দশমিক ৩০ শতাংশ। এখানে মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ১৯ হাজার ২৪৯ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৫ হাজার ৮১৪ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ২৬৮ জন। নাটোরে ৮০ দশমিক ৯৭ শতাংশ ছেলে এবং ৮৩ দশমিক ৭১ শতাংশ মেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। ৮৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ পাসের হার নিয়ে গত বছর বোর্ডে ষষ্ঠ অবস্থানে ছিলো নাটোর জেলা।
এ বছর রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৮৬ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। এবছর বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিলো এক লাখ ৯৪ হাজার ৭৭৫ জন। সব মিলিয়ে এক লাখ ৬৬ হাজার ৮৬৫ জন পরীক্ষার্থী পাস করেছে। এ বছর ৮৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ মেয়ে এবং ৮৫ দশমিক ১৫ শতাংশ ছেলে পাস করেছে। এ বছর মোট জিপিএ ১৯ হাজার ৪৯৮ জন। এর মধ্যে ৯ হাজার ৪৮০ জন মেয়ে এবং ১০ হাজার ১৮ জন ছেলে।

খবর ৭১/ এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here