খবর ৭১ঃরাজধানী ঢাকার সব ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২২ নভেম্বর এ তালিকা দাখিল করতে হবে।
ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ, রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। জনস্বার্থে করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে গুলশান শপিং সেন্টারের ৬ তলা ভবনের গ্যাস, ইলেকট্রিক সিটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ওই ভবন কেন ধ্বংস করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না,তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা শহরের ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডিং শনাক্ত করে রাজউক, গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং ফায়ার সার্ভিস নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না রুলে সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট জুবায়দা গুলশান আরা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।
ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিপ্রতিরোধ নির্বাপণ আইন ২০০৩-এর আওতায় গুলশান শপিং সেন্টারকে ব্যবহার অনুপযোগী ঘোষণা করা হয়। এ কারণে ওই ভবন ভাঙার নির্দেশনা চেয়ে গত ৯ আগস্ট স্বদেশ নামে একটি এনজিওর নির্বাহী পরিচালক মো. হানিফ জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, গুলশান শপিং সেন্টার নিয়ে আজকে একটা রুল জারি হয়েছে। এই রুলে ঢাকা শহরে ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডিং শনাক্ত করে রাজউক, গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং ফায়ার সার্ভিস নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ কেন নেয়া হচ্ছে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে গুলশান শপিং সেন্টারের যে ৬ তলা ভবন আছে সেই ভবনের গ্যাস, ইলেকট্রিক সিটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ওই ভবন ধ্বংস করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল জারি করেছেন।
রুলের পাশাপাশি আগামী তিন মাসের মধ্যে ঢাকা সিটির অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন শনাক্ত করে আদালতের একটি তালিকা দাখিল করতে রাজউক, গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং ফায়ার সার্ভিসকে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছেন।
খবর ৭১/ইঃ