খবর৭১:রাজধানীর রমনা থানায় পুলিশ হেফাজতে এক ছিনতাইকারীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মঙ্গল (২৫)।
পুলিশের দাবি, ছিনতাইকালে এলাকাবাসী তাকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখানে সে কিছুটা সুস্থ হলে মামলার এজাহার দায়েরের জন্য হাসপাতাল থেকে আবার তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। মামলার এজাহার লেখাকালে থানা গারদে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল ৮ টার দিকে রমনার চেয়ারম্যান গলিতে ছুরি দেখিয়ে এক ব্যক্তির টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল মঙ্গল। ওই ব্যক্তি চিত্কার দিলে আশপাশের লোকজন তাকে ধরে ফেলে। পরে জনতা তাকে বেধড়ক পিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ প্রায় ১ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিত্সকের পরামর্শে তাকে ১০২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করে পুলিশ। দুপুর দেড়টার দিকে মঙ্গল কিছুটা সুস্থ হলে মামলার এজাহার দায়েরের জন্য তাকে আবার রমনা থানার পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ছিনতাই করতে গিয়ে ধরা পড়ে মঙ্গল। লোকজন তাকে বেধড়ক পেটায়। খবর পেয়ে পুলিশ মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিত্সায় মোটামুটি সুস্থবোধ করলে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে রমনা থানায় নিয়ে আসা হয়। থানায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়ার মধ্যেই সে আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখনই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন জরুরি বিভাগের চিকিত্সক।
রমনা জোনের পুলিশের এসি এহসানুল ফেরদাউস সাংবাদিকদের জানান, ওই যুবক একজন পেশাদার ছিনতাইকারী। রমনা এবং তার আশপাশের এলাকায় গভীর রাতে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সে নিরীহ লোকজনের কাছ থেকে সব কিছু কেড়ে নিতো। রমনার মীরবাগে থাকতো সে। তার বাবার নাম জাকির হোসেন
খবর৭১/জি: