রাজধানীতে গণপরিহন সংকট

0
192

খবর ৭১ঃগত রোববার রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের এমইএস বাসস্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে প্রাণ হারায় রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী। এরপর থেকেই ঘাতক বাসচালকের শাস্তিসহ নয়দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন তাদের সহপাঠীরা। ধীরে ধীরে এ আন্দোলন স্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়ে পুরো রাজধানীসহ সারা দেশে।

শুক্রবার আন্দোলনের ষষ্ঠ দিনেও রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে পরিবহনের লাইসেন্স যাচাই করতে দেখা গেছে কিছু শিক্ষার্থীকে।

এদিকে, সরেজমিনে দেখা যায় রাজধানীতে আজও গণপরিবহন একেবারে নেই বললেই চলে। অনেকক্ষণ পর পর একটি বাস বা লেগুনার দেখা পাওয়া যায়। যদিও আজ সরকারি ছুটির দিন তবু, সদা ব্যস্ত মহানগরীর মানুষকে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে গণপরিবহন না থাকায়। তাদের অনেককে রিকশা বা পায়ে হেটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।

সকাল থেকেই রাজধানীর ধানমন্ডি, মতিঝিল, উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, ফার্মগেট, মহাখালী, গুলশান, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, মিরপুর, রামপুরা, বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায় গণপরিবহন তেমন চোখে পড়েনি।

এদিকে, বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নেয়া হয়েছে। এরপর আন্দোলন হলে তা হবে ‘অযৌক্তিক’।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছি। অনেক দাবি ইতোমধ্যে মেনে নেয়া হয়েছে। যেটা বাকি শুধু সড়ক পরিবহন আইন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আগামী মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে আইনটি অনুমোদন হওয়ার পর সংসদে যাবে। আশা করছি আইনটি পাস হবে।

অপরদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, দুই সহপাঠী হারিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যে প্রতিবাদ জানিয়েছে তা যৌক্তিক। কিন্তু এর ফলে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা (সাবোটাজ) ও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই অনুরোধ, যথেষ্ট হয়েছে, তোমরা ক্লাসে ফিরে যাও, বাসায় ফিরে যাও। যদি কিছু ঘটে তবে নিরাপত্তাবাহিনী এর দায় নেবে না।

এছাড়া, রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে ছেড়ে আসা কয়েকটি বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পরিবহন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, শ্রমিকরা বাসে উঠে ধর্মঘট চলছে জানিয়ে জোরপূর্বক যাত্রীদের নামিয়ে দেয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here