কাজী শাহ্ আলম , হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধিঃঅন্যান্য মাসের তুলনায় রমজান মাস দম ফেরানোর সময় নেই। রমজান মাস উপলক্ষে ব্যস্তত সময় পার করেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার মুড়ি ব্যবসায়ী মহিলারা। চাল শুকানো ও মুড়ি ভাজতে দিন পাড় হয়ে যাচ্ছে তাদের। তাদের হাতের ভাজা এ মুড়ি বাজারে ব্যপক চাহিদা থাকলেও চালের দাম বেশি হওয়ায় লাভ কম হলেও বসে নেই তারা।
মঙ্গলবার সড়জমিনে উপজেলার সিংগীমারী গ্রামের বিধবা মোছাঃ অজিফা বেওয়া জানায়, হাইড্রোজ ক্যামিক্যাল মেশানো মেশিনে তৈরী ভেজাল মুড়ি বর্তমান বাজারে দখল করে নিয়েছে। অসাধু এ মুড়ি ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতারা। হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগীমারী ও সিন্দূর্না গ্রামে প্রায় শতাধিক পরিবার মুড়ি তৈরী করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে দীর্ঘ দিন যাবত। এসব পরিবারের মহিলারাই মুড়ি তৈরী থেকে বাজারে বিক্রি করা পর্যন্ত সব কাজ করেন।
প্রতিদিন শহরে বাসায় বাসায় গিয়ে মুড়ি বিক্রি করে দুপুরে বাসায় ফিরে পূর্নরায় বিকালে বাজারে মুড়ি নিয়ে যায়, বিক্রি শেষে সন্ধায় বাসায় ফিরে আসেন তারা। অন্যান্য মাসের তুলনায় রমজান মাসে কয়েক গুন ব্যস্ততা বেড়ে যায় তাদের। তাই রমজান মাসকে ঘিরে ব্যস্ততার শেষ নেই তাদের। বর্তমান বাজারে চালের দাম বেশি হওয়ায় লাব কম হলেও ক্যামিক্যাল মেশান না তারা। মোছাঃ অজিফা বেওয়া জানায়, স্বামী ছিল বাক প্রতিবন্ধি। অন্যের বাড়িতে মজুরী খেটে জীবিকা নির্বাহ করছিল। ৩৪ বছর আগে স্বামী মারা যায় সহয় সম্বল কিছুই দিয়ে যায়নি। খালি হাতের উপর ৩৪বছর ধরে জীবন যুদ্ধ করে চলে আসছি এই মুড়ি তৈরী করে। তিনি বলেন, খালি হাতে মুড়ি ব্যবসা শুরু করছি। প্রথমে ১০ কেজি ধান কর্জ্জ শেষে চাল করি এ মুড়ি ব্যবসা শুরু করছি। আস্তে আস্তে খেয়ে পড়েও বর্তমান ৪/৫মন মুড়ি ক্যাশ হয়েছে। জীবিকা নির্বাহের আর কোন পদ না পেয়ে এ মুড়ির ব্যবসাই এখন পেশা হিসাবে বেছেনিয়েছি। বর্তমান বাজারে লাভ কম হলেও কি করব,যেহেতু অন্য কোন কাজ কর্ম করতে পারি না তাই এ পেশাই ভাল। যেভাবে জীবন যাপন করা যায় তাই করছি।
খবর ৭১/ইঃ