রবীন্দ্রনাথের আমাদের ছোট নদী উদ্ধার করলেন ইউএনও

0
1093
রবীন্দ্রনাথের আমাদের ছোট নদী উদ্ধার করলেন ইউএনও
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন খান। ছবিঃ শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি।

খবর৭১ঃ

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে, বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জনপ্রিয় শিশুতোষ কবিতা ছোট নদী কবিতাটি মনে নেই এমন লোক পাওয়া কঠিন। তবে অনেকেই জানেন না সেই কবিতার ছোট নদী টি শাহজাদপুরের খোনকারের জোলা নামে পরিচিত ছিল যা দখলদারদের অবৈধ দখলে হারিয়ে যেতে বসেছিল। সেই ছোট নদী (খোনকারের জোলা) অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে উদ্ধার করলেন শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহি অফিসার নাজমুল হুসাইন খান।

দেশব্যাপী চলমান সরকারি জায়গা উদ্ধার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে শাহজাদপুরে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের খোনকারের জোলা উদ এবং বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা ভাঙ্গা হয়। এ ছাড়াও জনগণের চলাচলের জন্য বেশকিছু নতুন সড়ক তৈরি করা হয়। আর এই কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব নাজমুল হুসেইন খান। স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তি যোদ্ধা আলহাজ হাসিবুর রহমান স্বপনের সহযোগীতায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন খান ও শাহজাদপুরের সাবেক সহকারী কমিশনার(ভুমি) হাসিব সরকার অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায় শাহজাদপুরে দখল হয়ে হারিয়ে যাওয়া খোনখারের জোলাসহ অবৈধ দখলদারের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে কোটি কোটি টাকার জয়গা এবং সেই সাথে শাহজাদপুরবাসী ফিরে পেয়েছে তাদের চলাচলের পথ। তাদের উদ্যোগের ফলে শাহজাদপুর পৌর শহরের মনিরামপুর বাজারের মিনাবাজার মুজিব ভবনের পাশ দিয়ে দখলমুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের ছোট নদী ( বর্তমান খোনকারের জোলা), অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করে জোলা প্রশস্থ্য করেছে এবং জোলার দুই পাশ দিয়ে ওয়াক ওয়ে তৈরি করারও প্রচেষ্টা চলছে।

জোলা উদ্ধারের সময় ইউএনও নাজমুল হুসেইন খান দখলদারদের রক্ষায় কারোরই অনুরোধ শোনেননি বরং দ্রুত দখলদারদের স্থাপনা উচ্ছেদ করে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেছেন। তার প্রচেষ্টায় এখন মানুষ ফিরে পেয়েছে পায়ে হাটার রাস্তা এবং সেই সাথে প্রশস্থ্য হয়েছে খোনকারের জোলা। সম্প্রতি এই জোলাটি পরিদর্শন করে গেছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব জনাব মহিদুল ইসলাম। এই জোলাটির সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য তিনটি ব্রীজ হবে এবং জোলাটি খনন করে সচল করা হবে বলে শোনা গেছে। যার ফলে এই জোলা দিয়ে খুব সহজেই নৌকাযোগে করতোয়া নদীতে যাওয়া যাবে। বিসিক বাসস্ট্যান্ড রোডে অবৈধ দখলদারের দখলে থাকা স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে কয়েক কোটি টাকা মুল্যে জায়গা উদ্ধার করেছে। যেটি এখন শেখ রাসেল সৃতি পার্কের সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছিলো এবং পাশেই হচ্ছে উপজেলা মডেল মসজিদ। যেখানে শত শত মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবে। মনিরামপুর বাজারের মুজিব ভবনের পাশ থেকে সরকারি কলেজের দক্ষিন গেট পর্যন্ত জায়গা উদ্ধার করে প্রশস্থ্য একটি রাস্তা করে দিয়েছেন। যেটি খুব শিঘ্রই পাকা করন হবে বলে শোনা যাচ্ছে। সরকারী কলেজের পুর্ব পার্শ্বে ৩৩ শতক পুকুরের জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে তার নেতৃত্বে, সেখানে শিল্পকলা একাডেমির ভবন নির্মিত হবে।

দরগাহপাড়া করতোয়া নদীর তীরে মখদম শাহ দৌলা (রহঃ) ইয়ামেনীর মাজার এবং মসজিদের পাশে অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়ে জায়গাটি উদ্ধার করেছেন। এছারাও আরো কয়েকটি জায়গা উদ্ধার করেছেন। যার ফল শাহজাদপুরবাসী ভোগ করবে । এ ব্যাপারে, ইউএনও নাজমুল হুসেইন খান বলেন, সরকারের নির্দেশে শাহজাদপুরের যে সকল কাজগুলো করেছি। এগুলো সুফল শাহজাদপুর বাসীই ভোগ করবে। তিনি আরো বলেন, এসব ভালো কাজে শাহজাদপুরবাসী আমাদের আন্তরিকতার সাথে সহযোগীতা করেছে, আমি এজন্য তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। এদিকে শাহজাদপুরের সুধীমহলের মতে, যে কাজগুলো কেউ আশা করতে পারেনি সেই কাজগুলো উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন খান খুব দ্রুততার সাথে বাস্তবায়ন করেছেন। আমরা শাহজাদপুর বাসি তাকে ঘিরেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি শাহজাদপুর কে নিয়ে‌।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here