যৌন হয়রানি: আন্দোলনের মুখে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার

0
269

খবর৭১ঃ গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ছাত্রী যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

আজ রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জরুরি বৈঠকে বসে। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক মো. আক্কাস আলীকে বিভাগীয় প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এ ছাড়া এ ঘটনার তদন্তে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। আগামী ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে এ তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করবে।

ওই শিক্ষকের অধীনে থিসিস করতে থাকা ওই বিভাগের দুই ছাত্রী গত মাসে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।

রবিবার সকাল ১০ টা থেকে ওই শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে। পরে তারা ওই শিক্ষকের কুশপুত্তলিকায় আগুন দিয়ে তার প্রত্যাহার দাবি করতে থাকেন। অবস্থা বেগতিক দেখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জরুরি বৈঠকে বসে ওই শিক্ষককে বহিষ্করের সিদ্ধান্ত নেয়। তারপর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. নূর উদ্দিন বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষক মো. আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাকে সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষক পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’

ছাত্রী যৌন হয়রাণীর ঘটনায় বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহিম খানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। আগামী ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে এ কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে। অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই কর্মকর্তা।
খবর৭১/এস;

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here