যে ফ্লোরে আগুন সে ফ্লোরেই মৃতদেহ

0
287

খবর ৭১ঃ রাজধানীর বনানীতে এফ আর টাওয়ারে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৭ জনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে ভবনের ভেতরে যেসব ফ্লোরে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে সেসব ফ্লোরের প্রতিটিতেই মরদেহ আছে বলে ভেতর থেকে চিৎকার করে জানাচ্ছেন জীবিতরা।
বিকেলে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বনানীর অগ্নিকাণ্ডে ইউনাইটেড হাসাতালে এখন পর্যন্ত তিনজন মারা গেছেন। তারা তিনজনাই পুরুষ। এদের দুইজনই আতঙ্কে লাফ দিতে গিয়ে মারা গেছেন বলে মনে হচ্ছে। এছাড়া এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও ২০ জন। নিহত একজনের নাম মনির। এছাড়া আর কারো নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।’
ইউনাইডেট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ২৩ জন এসেছেন। এদের মধ্যে ২-৩ জন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। আর যে তিনজন মারা গেছেন, তাদের মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। আহতদের অধিকাংশ লাফ দিয়ে পড়ে আহত হয়েছেন। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তারা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে।
এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিলে দগ্ধ আব্দুল্লাহ আল ফারুক নামে এক ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ খন্দকার বলেন, বনানীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমাদের হাসপাতালে এখন পর্যন্ত চারজন এসেছে। এদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল ফারুক নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। নিহতের শরীরে ৯০ শতাংশ পোড়া ছিল। আহত অবস্থায় আরো তিনজন চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে আবু হোসেন নামে একজন আছে তার পায়ে ফ্র্যাকচার হয়েছে। আরেকজনের নাম রেজোয়ান আহমেদ। তার শরীরে আঘাতসহ দগ্ধ আছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। সাব্বির আহমেদ নামের আরেকজনের পায়ে কাচ ঢুকেছে ও শরীরে ফ্র্যাকচার আছে।
এছাড়া কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া দগ্ধ এক শ্রীলঙ্কান নাগরিককে মৃত ঘোষণা করা হয়। ওই হাসপাতালে ৩৫ জনের বেশি আহত ব্যক্তি এখনও চিকিৎসাধীন।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারের আট ও নয়তলায় আগুন লাগে। এতে ওই ভবনে আটকা পড়েন বহু মানুষ। ধারণা করে বলা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুন লাগে।
আগুন থেকে বাঁচতে ভবনের নিচে নামার চেষ্টা করছেন আটকে পড়া বহু মানুষ। অনেকে বাঁচতে গিয়ে ভবনের ছাদে অবস্থান নিয়েছেন। অনেকে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here