যে তিন কারণে মেসির চেয়েও সেরা রোনালদো

0
304

খবর৭১ঃ কে সেরা? পেলে না ম্যারাডোনা। এই প্রশ্নের সমাধান আজও মেলাতে পারেনি ফুটবলবোদ্ধারা। এর জোয়ার শেষ হতে না হতে নতুন দ্বৈরথ; মেসি না রোনালদো, কে সেরা? কারণ এ দুজনই যে দলের হয়ে একের পর এক কীর্তি গড়ে যাচ্ছেন।

এ বিতর্কের সমাধান না থাকলেও কিছু পন্থা বিশ্লেষণ করে দুজনের পার্থক্য নির্ণয় করা যায়। ভারতীয় গণমাধ্যম স্পোর্টসকিডার এক বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনে দুজনের বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে সেরা একজনকে নির্বাচিত করেছে। চলুন দেখে নেই স্পোর্টসকিডারের বিশ্লেষণ অনুযায়ী কোন তিন কারণে মেসির চেয়েও সেরা রোনালদো।

ব্যাপক ফুটবল অভিজ্ঞতা: বিভিন্ন অচেনা পরিবেশে আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যে মেসির চেয়েও রোনালদোর খেলার অভিজ্ঞতা বেশি। সিআরসেভেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেয়ার আগে পর্তুগিজ লিগে খেলেছিলেন বেশ কিছু দিন। প্রিমিয়ার লিগে অতিবাহিত হয় তার প্রায় ছয়টি বছর। এরপর যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদে। সেখানে স্প্যানিশ লা-লিগার ক্লাবটিতে কাটে তার ৯টি মৌসুম।

রিয়ালে দীর্ঘদিনের সংসার ছেড়ে সম্প্রতি জুভেন্টাসে যোগ দেন রোনালদো। শুরু করেন আরও একটি নতুন অধ্যায়। এখানে তিনি পরিচিত হতে পারছেন বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ধরনের ফুটবলারদের সাথে। সতীর্থদের পাশাপাশি বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দেরও বুঝতে চেষ্টা করেন রোনালদো। এতে তার ফুটবল অভিজ্ঞতা বাড়ে। বিভিন্ন লিগের এই পরিবেশ ও ড্রেসিং রুম শেয়ারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সবসময় ভালো কিছু করার সুযোগ থাকে রোনালদোর।

বিশ্লেষণে উঠে আসে, রোনালদো পর্তুগিজ লিগে খেলার অভিজ্ঞতা তার স্বদেশি সতীর্থদের ও দেশের জন্য কাজে লাগাতে পারেন। আর বিভিন্ন লিগে খেলার অভিজ্ঞতাও আন্তর্জাতিক ম্যাচ এবং লিগে কাজে লাগাতে পারেন। আর এদিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে লিওনেল মেসি। নিজ দল আর্জেন্টিনা আর লা-লিগার ক্লাব বার্সেলোনা ছাড়া আর কোনো ক্লাবের হয়ে এখন পর্যন্ত সুযোগ পাননি মেসি। আর তাই ফুটবলের জ্ঞান দিয়ে মেসির চেয়েও এগিয়ে রোনালদো।

ব্যতিক্রমী মানসিকতা: ফুটবল গণ্ডির বাহিরে রোনালদো তার আকর্ষণীয় ফিগার ও ফিটনেসের কারণ ছাড়াও রোনালদো তার উদার ও দুর্দান্ত মানসিকতার জন্য ভক্তদের চোখে শ্রেষ্ঠ। পর্তুগিজ মেগাস্টার যখন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলতেন তখন ভক্তদের জের এবং ঘৃণ্য অনুরাগ তার দৈনন্দিন ব্রেকফাস্ট ছিল। লস ব্লাঙ্কোসের এমন অনেক গোপন ঘটনা ছিল, যেখানে তাদের সমর্থকরা বাজে পারফরম্যান্সের কারণে এমনকি কখনও ব্যক্তিগত কারণেও তাদের নিজস্ব খেলোয়াড়দের দোষারোপ করছেন। এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশটি রোনালদোর মানসিক শক্তিকে অনুপ্রাণিত করেছে এবং প্রশিক্ষিত করেছে যে তার বিরোধীরা তাকে উত্তেজিত করলে শক্তিশালী হবে।

রোনালদো মনে করতেন, চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় উভয় দলের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চাবিকাঠি হলো শক্তিশালী মানসিকতা। এটি দলের ভাগ্য নির্ধারণ করতে সহয্য করে। আর রোনালদোর অবিরাম এই ইতিবাচকতা এবং জয়ের বাসনা সর্বদা তাকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে সাহায্য করেছে।

অন্যদিকে, মেসি আর্জেন্টিনা ও বার্সেলোনার ভক্তদের কাছে ঘৃণ্য ও কঠোর সমালোচনার শিকার হয়ে শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের থেকে অবসর নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলেন। মানসিকভাবে শক্তিশালী না হওয়ায় ৩১ বছর বয়সী এই ফুটবলারকে দ্বিধায় পড়তে হয়।

ভাল নেতৃত্বের গুণাগুণ:
তার অসম্ভব মানসিকতার পাশাপাশি, রোনালদো দলের সতীর্থদের অনুপ্রাণিত করতে পারেন এবং তার চমৎকার নেতৃত্বের গুণমানের কারণে দলের কাছে ইতিবাচকতা আনতে পারেন। রোনালদো তার ক্লাবের অধিনায়ক না হলেও ড্রেসিংরুমে প্রতিপক্ষের তুলনায় নিজেদের বেশি শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলতে সতীর্থদের সহযোগিতা করেন।

৩৪ বছর বয়সী এই তারকা তার চিন্তাভাবনা এবং উদ্বেগ বা বিশ্বাস তার সহকর্মীদের সাথে ভাগ করতে দ্বিধা করেন না। রোনালদোর এই নেতৃত্বের মাধ্যমে তার সহকর্মীদের মনোবল বাড়ে এবং তার দক্ষতাও একটি সিদ্ধান্তমূলক কারণ যা তাকে অনেক কাপ শিরোপা জিতেছে। অন্যদিকে, মেসির কিছুটা লাজুক ব্যক্তিত্বের। মাঝে মাঝে বক্তৃতা দিতে অনিচ্ছুক প্রকাশ করে মেসি।
খবর৭১/এস;

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here