যুবলীগ নেতা হত্যা: ধর্মমন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে মামলা

0
323

খবর৭১ঃ ময়মনসিংহ নগরীর আকুয়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মহানগর যুবলীগ সদস্য সাজ্জাদ আলম শেখ আজাদ ওরফে আজাদ শেখ হত্যার ঘটনায় অবশেষে আদালতের নির্দেশে একমাস পর কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় ধর্মমন্ত্রীর ছেলে ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিতুর রহমান শান্তকে প্রধান আসামি করে ২৫ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে।

শুক্রবার (৩১ আগস্ট) রাতে আজাদ শেখের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার দিলু বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলা নিতে গত বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। শুক্রবার রাতে ধর্মমন্ত্রীর ছেলে মোহিতুর রহমান শান্তকে প্রধান আসামি করে মামলা নেওয়া হয়। অন্য আসামিরা হলেন- ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মন্তু বাবু, মহানগর আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল পাঠান, যুবলীগকর্মী শেখ ফরিদ, ফরহাদ, মিলন, ফারুকসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও বেশ কয়কেজন অজ্ঞাত আসামি রয়েছে।

আজাদের বড় ভাই সালাহ উদ্দিন শেখ শামীম বলেন, আজাদ শেখ আগে শান্তর গ্রুপে রাজনীতি করতেন। কিন্তু শান্ত তাকে টেন্ডারবাজি ও মাদক ব্যবসা করতে বললে আজাদ গ্রুপ বদল করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল এবং পৌর মেয়র ইকরামূল হক টিটু গ্রুপে যোগ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শান্ত তাকে হত্যা পরিকল্পনা করেন এবং তার নির্দেশেই অনুগত সন্ত্রাসীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

আজাদের স্ত্রী দিলরুবা বলেন, নিজ দলের নেতার নির্দেশেই আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। আজ মামলা করতে পেরে স্বস্তি পাচ্ছি। তবে নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় বোধ করছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের নিরাপত্তাসহ আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।

এ ব্যাপারে ধর্মমন্ত্রীর ছেলে মোহিতুর রহমান শান্ত বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যকাণ্ড ঘটেছে। কারা কী করেছে পুলিশ সব জানে। এ মামলায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।

এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার ও আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি, রাস্তা অবরোধ, মৌন মিছিল, স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আজাদের পরিবার ও তার সমর্থকরা।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই দুপুরে দলীয় বিরোধের জেরধরে প্রকাশ্যে মহানগর যুবলীগের সদস্য আজাদ শেখকে গুলি, দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে একই এলাকার যুবলীগের কর্মীরা। আজাদ এক সময় মোহিতুর রহমান শান্ত গ্রুপ করতেন। পরে বনিবনা না হওয়ায় জেলা আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল ও পৌর মেয়র ইকরামুল হক টিটুর গ্রুপে যোগ দেন বলে জানা গেছে।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here