যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হামাস-ইসরায়েল

0
287

খবর ৭১: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলার পর হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বুধবার এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে কথা বলেছেন গাজায় হামাসের উপপ্রধান খলিল আল-হাইয়া। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে সফল প্রতিরোধের পর গত কয়েক ঘণ্টায় নানা মাধ্যম থেকে মধ্যস্থতার চেষ্টা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ২০১৪ সালের যুদ্ধবিরতি মেনে চলার বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। দখলদার শক্তি যতক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে প্রতিরোধ আন্দোলনগুলোও ততক্ষণ পর্যন্ত তা মেনে চলবে।’হামাস নেতার এ বক্তব্যের ব্যাপারে অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এই যুদ্ধবিরতির নেপথ্যে মিসরের অংশগ্রহণের কথা জানিয়েছে আল জাজিরা। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক্ষেত্রে মিসরের নিরাপত্তা বাহিনী মধ্যস্থতা করেছে।
এর আগে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কায়রোকে জানানো হয়, হামাসের হামলা বন্ধ না হলে আরও কঠোর ও ভয়ানক জবাব দেওয়া হবে। হামাস নেতাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হবে।

খলিল আল-হাইয়া’র ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে হামাসের একটি টুইটার অ্যাকাউন্টে ঘোষণা দেওয়া হয়, হামাস গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। ‘দখলদাররাও’ একই পদক্ষেপের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।

আল জাজিরা’র বার্নার্ড স্মিথ জানান, এখন স্থানীয় সময় সকাল ১০টা। এখন যুদ্ধবিরতি চলছে বলে মনে হচ্ছে। স্থানীয় সময় চারটা থেকে এটা শুরু হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইসরায়েলের আগ্রাসনের জবাবে দেশটির একটি খালি কিন্ডারগার্টেনকে লক্ষ্য করে ৩০টি মর্টার হামলা চালায় হামাস। জবাবে মঙ্গলবার হামাস ও ইসলামিক জিহাদের ৫৫টি স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। ২০১৪ সালের গাজা যুদ্ধের পর এমন বৃহৎ পরিসরে পারস্পরিক হামলার ঘটনা এবারই প্রথম।

ইসলামিক জিহাদের দাউদ সাহাব বলেন, ইসলামিক জিহাদ সহিংসতা চায়নি। ইসরায়েলের কারণেই এমনটা হয়েছে। যদি তারা চুপ থাকে এবং সব ধরনের আগ্রাসন বন্ধ থাকে, তবেই আমরা শান্ত হবো। সূত্র: আল জাজিরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here