যারা ভোটের রাজনীতিতে পারবে না তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত: প্রধানমন্ত্রী

0
237
খালেদা জিয়ার দুর্নীতির বিচার হবেই, কোনও প্রতিহিংসা নেই প্রধানমন্ত্রী

খবর ৭১: যারা ভোটের রাজনীতিতে পারেনি তাদের ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার সকাল ১০ টার দিকে গণভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে দেয়া সংবর্ধনায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের একটা শক্তিশালী প্রতিপক্ষ আছে। তাদের চক্রান্ত অনবরত চলছে। তারা জানে, তারা ভোটের রাজনীতি পারবে না। কিন্তু ক্ষমতার লোভ আছে। তাই একাত্তরের পরাজিত শক্তির সাথেই হাত মেলায়, খুনি-ঘাতকদের সাথে হাত মিলিয়ে সারাক্ষণ আমাদের বিরুদ্ধে লেগে থাকে।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে গভীর চক্রান্ত করে আমাদের আসতে দেয়নি এবং ১৯৯১ সালে এই চক্রান্ত আমার দলের ভিতরেও ছিল বাইরেও ছিল। দলের ভিতর চক্রান্তটা কোথায়? যাই হোক, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসুক আমি যেন কিছু না হতে পারি। ওটা করতে গিয়ে এমন এমন প্রার্থীদের বেছে নেওয়া হল যারা জিতে আসতে পারেনি। আর যাদের আমরা মনোনয়ন দেই নাই। দিলে তারা জিততো তাদের তারা লুফে নিলো, এরকম বহু ঘটনা ও অভিজ্ঞতা আমি বলছি এবং বহু আছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে শক্তি চক্রান্ত করে ১৫ আগস্ট ঘটাল এদেশে। যে শক্তি বারবার আঘাত হেনেছে। শুধু ২১ আগস্ট না, ‘৮৮ সালে ২৪ জানুয়ারি বা ৮১ সাল থেকে আমি বাংলাদেশে পা দেওয়ার পর থেকেই একের পর এক যে ঘটনাগুলি ঘটেছে, তার পেছনে তারা রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আল্লাহর ইচ্ছা ছিল বোধহয় সেজন্য বাঁচিয়ে রেখেছে। কিন্তু ওই রকম বারবার মৃত্যুকে মুখোমুখি নিয়ে চলা, এটা অনেকেই চলতেও পারে না। সে সাহসও পায় না। সেভাবে করতেও পারে না। তারপর আবার আন্তর্জাতিক চক্রান্ত মোকাবিলা করতে হয়েছে। কারণ আমাদের দেশে একটা শ্রেণি; ৭১ সালে যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনঅর সাথে জড়িত তারা তো রয়ে গেছে। তাদের বংশধর তো রয়ে গেছে। তাদের চক্রান্ত তো অনবরত চলছে এবং তারা করেই যাচ্ছে। সেখান থেকে একটা শ্রেণি গড়ে উঠেছে, তারা জানেই যে তারা ভোটের রাজনীতি পারবে না। তারা জানে যে তারা দল করতে পারে না। তারা মাঠে যেতে পারে না। কিন্তু ক্ষমতার লোভ তাদের।

শেখ হাসিনা বলেন, এই ক্ষমতার লোভে একাত্তরের পরাজিত শক্তির সাথেই তারা হাত মেলায়, খুনিদের সাথে ঘাতকের সাথে হাত মিলায় এবং তারা কিন্তু সারাক্ষণ আমাদের বিরুদ্ধে লেগেই থাকে। সেটা আমাদের সব সময় মাথায় রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কিছু পত্রিকা আছে আমি জানি তারা প্রস্তুত অনেকগুলি তথ্য নিয়ে বসে। তারা একটার পর একটা ছাড়বে। যেখানেই আমাদের কোন অর্জন, যেখানেই মানুষ একটা বাহবা দিচ্ছে, সেখানেই প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য একটা মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা। আর আমাদের দুর্ভাগ্য যে, আমাদের মন্ত্রণালয় থেকেই হোক বা দুর্নীতি দমন কমিশন থেকেই হোক সেগুলোকে খুব গুরুত্ব দিয়েই আমাদের লোকগুলোর বিরুদ্ধে লেগে যায়। কাজেই এইসব ব্যাপারে আমাদের কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, যত অর্জন তা জনগণের দান। সুযোগ দিয়েছে বলেই বলেই এতো সাফল্য সাফল্য। ১৯৭৫ এর পর বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর পিছিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সম্মান আজ ফিরে পেয়েছে।
এর আগে, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সকাল ৯টার পর প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী দেশের উদ্দেশে রওনা দেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here