যশোরে পিতার ধর্ষণের কারনে কন্যার আত্মহত্যা

0
304

জাহিরুল ইসলাম মিলন।।যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ
যশোরে ১৩ বছরের একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। স্বজন, প্রতিবেশীরা বলছেন- জন্মদাতা তাকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করতো এবং এই যাতনা সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

শহরের বকচর হুশতলা কবরস্থানের পাশে মাঠপাড়ার বাড়িতে কাজলি খাতুন নামে মেয়েটি গলায় দড়ি দেয়। ঘটনাস্থলে এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।

অভিযুক্ত বাবা সায়েম হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় লোকজন সায়েম হোসেনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপার্দ করে। আটক সায়েম হোসেনকে জিঙ্গাসা বাদ করছে পুলিশ।

কাজলির মা পারুল বেগম বলেন, কাজলির বাবা একজন মাদকাসক্ত এবং দুশ্চরিত্র। আমি বকচরে একটি জর্দা কারখানায় কাজ করি। সকালে কাজে যাওয়ার পরে সায়েম মেয়ে কাজলির কাছে গিয়েছিল। এসময় কাজলি মনের কষ্টে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। আমি মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনাস্থলে যাই। আমার স্বামী আমার মেয়েকে বহুবার ধর্ষণ করেছে আমি জানি। বাধা দিলে সায়েম আমাকে বলে কাজলি আমার মেয়ে না তুই অন্য যায়গা থেকে তাকে জন্ম দিয়ে এনেছিস। আমার যা ইচ্ছে আমি তাই করব। আমি আমার তিন মেয়েকে নিয়ে এখন থেকে অন্য জায়গা পালিয়ে যেতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু এর মধ্যে আজ এই ঘটনা ঘটলো। আমি আমার স্বামীর ফাঁঁসি চাই।
এক প্রশ্নে জবাবে পারুল বেগম বলেন, আমার মেয়ে কাজলি অন্তঃসত্তা হয়নি। স্থানীয় লোকজন মিত্যা খবর রটিয়ে ছিল। স্থানীয় ভাবে এনিয়ে শালিশ বিচার ও হয়েছে।
কাজলির নানি সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলা দরাজহাট গ্রামের মোঃ ওদুতের স্ত্রী আকলিমা বেগম বলেন, আমার জামাই সায়েম একজন লম্পট সে তার নিজ মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করেছে আমি জানি। কাজলি আমার বাড়িতে কিছুদিন লুকিয়ে ছিল। এরকম ভুল হবেনা নাকে খত দিয়ে কাজলিকে আমার বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। আজও এরকম জঘন্য ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। আমি সায়েমের প্রকাশে গুলি করে হত্য করা হোক এরকম বিচার চাই।

কোতয়ালী থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি খবর শুনে ঘটনাস্থল থেকে সায়েমকে আট করে থানায় নিয়ে এসেছি। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে বলা যাবে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না।

জানতে চাইলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার এম আব্দুর রশিদ বলেন, শুনেছি স্কুল ছাত্রী আত্বহত্যা করেছে। লাশ মর্গে আছে ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসার পরে বলা যাবে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here