যশোরে এবার আমের বাম্পার ফলনের আশা আমচাষিদের

0
363

খবর৭১:জাহিরুল ইসলাম মিলন।।যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ
গাছে গাছে আমের মুকুলে ভরে গেছে । মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে আম বাগানগুলো। বাগানগুলোতে মধু সংগ্রহে মৌ মাছিদেরও ছোঁটাছুটি শুরু হয়েছে, গুন গুন গানের শব্দে ছোটা ছুটি। সেই সাথে আম চাষিদের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে বহুগুনে। বাগানের মালিকরা আমগাছে ঔষুধ স্প্রে শুরু করে দিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের তদারকিতে তাদের ব্যস্ততাও বেড়ে যাচ্ছে দিনে দিনে।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, ফালগুন মাসে প্রতিটি গাছেই পুরোপুরি ভাবে মুকুল ফুটে ছেয়ে যাবে। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন তারা। আম চাষিরা এলাকার চাহিদা পূরন করে দেশের অন্য জেলাতেও তারা সরবরাহ করে যার কারনে দিন দিন আম চাষের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে আমের বাগান ও বৃদ্ধি পাচ্ছে এখন। যশোর জেলার প্রায় প্রতিটি উপজেলায় বাণিজ্যিক ভাবে সব জাতের আমেরই চাষ হচ্ছে।
আম চাষ লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছর কৃষিজমিতে নতুন ভাবে তৈরি করা হচ্ছে আমের বাগান। বাঘারপাড়ার আমচাষি জাহিদুল ইসলাম জানান, কয়েক সপ্তাহ থেকে ধীরে ধীরে আমগাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার গাছগুলোতে মুকুলের সমারোহ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। শার্শার আমচাষি সহিদুল জানান, বাগানের নিয়মিত যত্ন নিলে ভাল ফলন পাবো বলে আমরা আশা করছি।
শার্শার আম ক্রেতা আবুল হোসেন জানান, মুকুল আসার আগেই তিনি আম বাগান অগ্রিম কিনে নেন। এবার দু-একটি বাগান ছাড়া প্রতিটি বাগানেই মুকুল আসতে শুরু করেছে । শার্শার কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার জানান, মূলত তিনটি পর্যায়ে আমের মুকুল আসে। যার প্রথম পর্যায় শুরু হয়েছে। পুরনো জাতের গাছগুলোতে মুকুল ধরেছে। আবহাওয়া অনূকুলে থাকলে চলতি মাসের শেষের দিক পর্যন্ত সব গাছে মুকুল দেখা যাবে।
এই উপজেলায় কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে এসব বাগানে হিমসাগর, লেংড়া, বোম্বাই, তিলি বোম্বাই, গোপালভোগ, ক্ষিরশাপাতি, রাজশাহী ফজলি, ইত্যাদি জাতের আম প্রতি বছরি বেশি চাষ হয়।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here