যশোরের শার্শা উপজেলায় আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

0
261

খবর৭১:জাহিরুল ইসলাম মিলন, যশোর প্রতিনিধি :
যশোরের শার্শা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আম বাগানগুলোয় মুকুল বেশি আসায় এ বছর আম উৎপাদন রেকর্ড গড়বে বলে আশা করছেন আম চাষিরা। মুকুল রক্ষায় গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত এখন এ অঞ্চলের চাষিরা। পোকা ও ছত্রাকের আক্রমণ থেকে ফলন রক্ষায় দফায় দফায় কীটনাশক দিচ্ছেন গাছে।
শার্শা উপজেলায় এক হাজারেরও বেশি আম চাষি অন্তত ৩ হাজার বিঘা জমিতে এবার আমচাষ করেছেন। হিমসাগর, লেংড়া, ফজলি, গোপালভোগ, আম রুপালী ও মল্লিকাসহ বিভিন্ন জাতের ২৭৫টি আমের বাগান আছে শার্শা উপজেলায় বলে জানা যায়।
আম গাছে হপার পোকা ও ছত্রাকের আক্রমণ থেকে রক্ষায় তরল কীটনাশক ব্যবহার করছেন চাষীরা। এতে মুকুল সতেজ থাকবে এবং ভালো ফলন হবে বলে মনে করেন তিনি।
বড়বাড়িয়া গ্রামের বাগান মালিক শাহাজান আলী বলেন, গত বছরের তুলনায় তার আমের গাছগুলোতে মুকুল বেশি এসেছে। তবে বেশ কিছুদিন থেকে তার গাছগুলোতে ‘হপার’ নামের এক ধরনের পোকার আক্রমণ লক্ষ্য করছেন। তাই তিনি গাছে কীটনাশক দিচ্ছেন।
সামটা গ্রামের জহুরুল হক জলু বলেন, প্রতিবছর আমের মুকুল দেখে লাভের আশায় বুক বাধেন। কিন্তু নানা কারণে মুকুল ঝরে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত তেমন একটা লাভ হয় না তার। এ বছর নিয়মিত গাছের পরিচর্যা করেছেন । বিশেষ করে হোপার পোকা ও ছত্রাকের আক্রমণের হাত থেকে মুকুলকে রক্ষা করতে কয়েক দফা তরল কীটনাশক স্প্রে করিয়েছেন তিনি।
খোরশেদ আলম, গোলাম আজম, দেলোয়ার হেসেনসহ একাধিক আমচাষী ও ব্যবসায়ী বলেন, অন্যান্য বছরের মতো এবারও তারা প্রতিটি বাগান মালিককে অগ্রিম ৩০-৪৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি করে বাগান কিনেছেন। পরিচর্যায় বিঘা প্রতি আরো ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এক বিঘার একটি বাগান থেকে কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা লাভ হবে। বিঘা প্রতি এক লাখ টাকা পর্যন্ত আম বিক্রি করা সম্ভব বলেও মনে করছেন এই আম চাষিরা। ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগে ১৭টা আমবাগান কিনে বছর শেষে সাড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকা লাভের স্বপ্ন দেখছেন জামতালার আমচাষী গোলাম আজম। তিনি বলেন, “এ বছর আম গাছগুলোতে প্রচুর মুকুল আসায় এ অঞ্চলে আমের ‘বাম্পার’ ফলনের আশা করা হচ্ছে।”
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার বলেন, “গত বছরের তুলনায় এ বছর এই অঞ্চলের আম গাছগুলোতে প্রচুর পরিমাণে মুকুল এসেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং বিভিন্ন ধরনের পোকার আক্রমণ থেকে মুকুল রক্ষা করা গেলে আমের ‘বাম্পার’ ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।”
হীরক কুমার বলেন, মুকুল ধরে রাখা, গুটি আনা, গুটি ঝরা বন্ধ করা ও গুটিকে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষায় আমচাষিরা বিরামহীন ভাবে পরিচর্যা করছেন। আমের কারবার নিয়ে এই অঞ্চলের ২০ হাজার মানুষের মৌসুমী কর্মসংস্থান হয়ে থাকে। কুড়ি লাখ টাকা বিনিয়োগে ১৭টা আমবাগান কিনে বছর শেষে সাড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকা লাভের স্বপ হীরক বলেন, মুকুল ধরে রাখা, গুটি আনা, গুটি ঝরা বন্ধ করা ও গুটিকে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষায় আমচাষিরা বিরামহীনভাবে পরিচর্যা করছেন। আমের কারবার নিয়ে এই অঞ্চলের ২০ হাজার মানুষের মৌসুমী কর্মসংস্থান হয়ে থাকে।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here