খবর৭১:যশোর-বেনাপোল সড়কে শতবর্ষী গাছ কাটার বিপক্ষে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। ১৭৫ বছরের পুরনো গাছগুলো রেখে কীভাবে চারলেন সড়ক নির্মাণ করা যায়, তার বিকল্প উপায় খোঁজার পরামর্শ মন্ত্রণালয়ের।
যশোর বেনাপোল সড়কে ৩৮ কিলোমিটার এলাকায় দুই হাজার ৩১২টি শতবর্ষী গাছ রয়েছে। এসব গাছ রক্ষায় কী করা যেতে পারে, তার উপায় খুঁজতে আজ মঙ্গলবার পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে এ বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবসহ সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
জানতে চাইলে পরিবেশ সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, গাছগুলোর মালিকানা জেলা পরিষদের। ওইসব গাছ বন অধিদপ্তরের সামাজিক বনায়নের বাইরে। তারপরও আমরা বলব, পরিবেশের ক্ষতি হোক এমন কোনো কর্মকাণ্ডকে আমরা সমর্থন করব না। শতবর্ষী গাছগুলোকে অক্ষুণ্ন রেখে কিভাবে চার লেনের সড়ক করা যায়, আজকের সংসদীয় কমিটিতে সে বিষয়ে আলোচনা হবে।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, দুই লেনের বিদ্যমান সড়ককে চার লেনে উন্নীত করতে সম্প্রতি গাছগুলো কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় প্রশাসন। যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে স্থানীয় প্রশাসন।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত গাছগুলো না কাটতে নির্দেশনা রয়েছে আদালতেরও। ৩২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে যশোরের দড়াটানা থেকে বেনাপোল পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে এরই মধ্যে দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। শিগগিরই চার লেনের কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে আজকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় জলবায়ু পরিবর্তন তহবিল (বিসিসিটি) টাকা স্থায়ী আমানত ও সার্বিক অবস্থা নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। জলবায়ু তহবিলের টাকা কয়েকটি ব্যাংকে স্থায়ী আমানত রাখার পর এখন আর সে টাকা পাচ্ছে না বিসিসিটি কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি কিভাবে সুন্দর সুরাহা করা যায় তা নিয়ে আজকের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বোটানিকাল গার্ডেন নির্মাণ প্রকল্প নিয়েও আলোচনা হবে। পরিবেশবিদরা বলছেন, এসব শতবর্ষী গাছের সঙ্গে অনেক ইতিহাস ঐহিত্য জড়িত। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এই সড়ক ও গাছ। তাই এসব শতবর্ষী গাছ রক্ষা করে সড়ক নির্মাণের দাবি পরিবেশবিদদের।
খবর৭১/জি: