মৎস আহরণ নিষেধাজ্ঞা শেষের পথে ২২৮৫ জেলে পরিবার এখনো চাল পায়নি

0
266

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
সরকার ঘোষিত মৎস্য অবরোধের নির্ধারিত সময়সীমা প্রায় শেষের পথে। এখন পর্যন্ত চাল পায়নি বাগেরহাটের শরণখোলার খাদ্য সহায়তায় তালিকাভূক্ত দুই হাজার ২৮৫ জন জেলে পরিবার। অবরোধের শুরুর দিকেই জেলেদের এই চাল দেওয়ার কথা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার প্রায় শেষ চাল না পাওয়া ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলেরা। তবে, জেলেদের চাল না পাওয়ার বিষয়ে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানেরা পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যানেরা বলছেন, পূজোর ছুঁটিতে খাদ্য গুদাম বন্ধ থাকায় তাঁরা সময় মতো চাল ছাড়াতে পারেননি। যার ফলে জেলেদেরকে চাল দেওয়া সম্ভব হয়নি। অপরদিকে, খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা বলেন, ছুঁটির আগেই চেয়ারম্যানদের চাল নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা আসেনি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার চারটি ইউনিয়নে কার্ডধারী জেলের সংখ্যা মোট পাঁচ হাজার ৩০০। এর মধ্যে খাদ্য সহায়তার তালিকায় রয়েছে দুই হাজার ৮৫ জন। এসব জেলেদের বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত এই ৪মাস ৪০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়। এছাড়া, মা’ ইলিশ রক্ষা ও ইলিশের প্রধান প্রজননের এ ২২ দিনে প্রত্যেক জেলে পরিবারের জন্য ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ চাল অবরোধের শুরু থেকেই দেওয়ার কথা কিন্তু তিন সপ্তাহ পার হলেও এখনো চাল পায়নি জেলেরা। উত্তর সাউথখারী গ্রামের জেলে সবুর মোল্লা, ওহিদুল হাওলাদার, বগী গ্রামের আলী হোসেনসহ অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অবরোধের সময়ই যদি মোরা চাউল না পাই, তাইলে অবরোধ শ্যাষে মোরা চাউল দিয়া কি হরমু। তহনতো মোরা চাউল কিন্যাই খাইতে পারমু। উত্তর সাউথখালী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম হালিম বলেন, অবরোধের সময় জেলেদের হাতে চাল তুলে দিতে পারলে তাঁদের উপকার হতো। এব্যাপারে ৪ নম্বর সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন বলেন, পূজার বন্ধের জন্য চাউল গুদাম থেকে আনা যায়নি। ১ নম্বর ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম টিপু বলেন, চালের ডিও সময় মতো না পাওয়ায় চাল উত্তোলন করতে পারিনি। ২নং খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন বলেন, জেলেদের তালিকা যাচাই বাছাই চলছে এ কাজ শেষ হলে দু-একদিনের মধ্যে চাল বিতরণ করা হবে। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, এ উপজেলায় কার্ডধারী ৫৩০০ জেলের মধ্যে ২২৮৫ জন জেলে খাদ্য সহায়তা পান। এদেরকে চাল দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের আগেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলার রায়েন্দা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা দেবদূত রায় বলেন, চেয়ারম্যানদেরকে অনেক আগেই চাল নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কি কারনে দেরি হয়েছে সেটা তাঁদের ব্যাপার। শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিংকন বিশ্বাস বলেন, জেলেদের চাল সঠিক সময়ে বিতরণের জন্য চেয়ারম্যানদের অনুকুলে ডিও দেওয়া হয়েছে। কি কারনে এখনো চাল বিতরণ হয়নি তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here