মোরেলগঞ্জে দেড়হাজার পরিবার পানিবন্দী, বাড়ছে পানীর উচ্চতা -ভাঙ্গছে নদী

0
239

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
প্রকৃতীর তারতম্যে আর অমাবশ্যার প্রভাব সাথে মৌসুমি বৃষ্টি ও বায়ুর চাপে পানগুছি নদী ও বলেশ্বর নদীতে জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের তুলনায় ৪/৫ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পানগুছি নদীর তীরবর্তী বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌরসভাসহ কয়েকটি গ্রামের প্রায় দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।পানীর ¯্রােতের তোড়ে বেড়েছে পানগুছি নদীর ভাঙ্গন। পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ড জোয়ারের পানীতে তলিয়ে গেছে। পৌরসভা মেয়র এসএম মনিরুল হক তালুকদার বলেন, বেড়িবাঁধ না থাকায় পৌরসভার ১, ২, ৪, ৫, ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে জোয়ারের পানিতে কমপক্ষে ৩শ’ পরিবারে রান্না বন্ধ হয়ে গেছে। ১ নং ওয়ার্ডে পিচ ঢালাই রাস্তা ধ্বসে গেছে, ডুবে গেছে ফেরিঘাট, এসিলাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের শেণিকক্ষ ও মাঠ।
মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহমুদ আলী বলেন, গাবতলা ও কাঠালতলা গ্রামের একটি রাস্তা নদীতে গর্ভে চলে যাওয়ায় ৩শ’ ৩০টি পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। ডুবে গেছে গাবতলা কমিউিনিটি ক্লিনিক, গিয়াসিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও গাবতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ।
তেলিগাতী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোর্শেদা আক্তার বলেন, এ ইউনিয়নের হেড়মা, মিস্ত্রীডাঙ্গা ও হরগাতী গ্রামের ১৫শ’ পরিবার গত তিন দিন ধরে পানিবন্দী অবস্থায় আছে। ধসে গেছে প্রায় এক কিলোমিটার ইটসোলিং রাস্তা।
হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী বদনীভাঙ্গা, পাঠামারা ও সানকিভাঙ্গা গ্রামে পানি ঢুকে পড়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে খাউলিয়া ইউনিয়নের পশুরবুনিয়া, খাউলিয়া, মধ্যবরিশাল ও সন্ন্যাসী গ্রামে। এ সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, উপকূলীয় উপজেলা মোরেলগঞ্জ সদরসহ ৬ ইউনিয়ন ঝুঁকির মধ্যে। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে স্থায়ী ভেড়িবাঁধ প্রয়োজন।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here