মৃত্যদণ্ড থেকে রক্ষা পেল পেনকা!

0
312

খবর ৭১ঃপ্রতিবেশী দেশ সার্বিয়ায় অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মৃত্যুদণ্ডই হতে যাচ্ছিল পেনকার। কিন্তু পশু অধিকারকর্মীদের জন্য রক্ষা পেল গরুটি।

রয়টার্সসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পেনকা নামে এই গরুটি বুলগেরিয়ার ছোট্ট গ্রাম কোপিলোভৎসির। গত মাসে ঘাস খেতে খেতে গরুটি চলে গিয়েছিল

গর্ভবতী গরুটির খোঁজ পেয়ে সার্বিয়া প্রশাসন যোগাযোগ করে বুলগেরিয়ার সঙ্গে। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে পেনকা ফেরত আসে নিজের দেশে।

কিন্তু তারপরই ঘটে বিপত্তি; ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন মেনে চলার বাধ্যবাধকতায় গরুটিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায় বুলগেরিয়া সরকার।

ইউরোপীয় কমিশনের নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা আছে, ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশের মধ্যে গরু বা অন্য জন্তু-জানোয়ার নিয়ে ঢোকার সময় সীমান্তের ফাঁড়িতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে হয়। সে ক্ষেত্রে পশুটি যে সুস্থ, তারও প্রমাণ দিতে হয়। কিন্তু পেনকা যে পেটের দায়ে নিজেই নিজের বিপদ ডেকে এনেছিল!

পেনকার অপরাধ শুধু সীমান্ত পেরোনোতে সীমাবদ্ধ রইল না; আন্তর্জাতিক আইন ভাঙার খড়গও তার মাথায় চড়ল। সার্বিয়া ইইউর সদস্য নয়, কিন্তু বুলগেরিয়া সদস্য, তাই আইন মেনে গরুটিতে শুলে চড়ানোর তোড়জোড় শুরু হল।

কিন্তু প্রতিবাদে সরব হল পশু অধিকারকর্মীরা। পেনকার প্রাণরক্ষায় অনলাইনে একের পর এক আবেদন আসতে থাকে। দেশ-বিদেশের পশুপ্রেমী সংগঠনের সঙ্গে মাঠে নামেন বিটলস তারকা পল ম্যাকার্টনিও।

ব্যাপক শোরগোলের পর ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে পেনকার মামলাটি পুনর্বিবেচনায় রাজি হয়েছে বুলগেরিয়ার খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থা, মুক্তি পেতে যাচ্ছে গরুটি। জর্জিভা দম্পতিও এখন তাদের গরুটির ঘরে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন।

পেনকা বেঁচে গেলেও পশুপ্রেমী সংগঠন ‘ফোর পজ’ বলছে, এভাবে পশুদের হত্যা করা নৃশংসতা। আইনে যে ফাঁক রয়েছে, এ বার তা দূর হওয়া দরকার।

খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here