মুসলমানরা সন্ত্রাসী নয়!

0
316

খবর৭১ঃমুসলমানরা সন্ত্রাসী নয়, এমনকিসন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয়ওদেয়না। নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলার পর ব্যানার হাতেএই বার্তাই দিচ্ছেন এক তরুণী।

গত শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে হামলায় অর্ধশত মুসল্লি নিহত হন। সেই মসজিদেই জুমার নামাজ আদায় করতে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। কিন্তু অল্পের জন্য সন্ত্রাসী হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যান টাইগাররা।

যেভাবে বেঁচে যান টাইগার ক্রিকেটাররা

ওই দিন অনুশীলন শেষ করে পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করতে হাগলি ওভাল স্টেডিয়াম সংলগ্ন মসজিদ আল নুরে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় মসজিদে থাকার কথা ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। কিন্তু ম্যাচের আগের দিন আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ-ছয় মিনিট সময় বেশি ব্যয় করে ফেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আর এই পাঁচ মিনিটই যেনো বাঁচিয়ে দিয়েছে পুরো বাংলাদেশ দলকে। কেননা পাঁচ মিনিট আগে সংবাদ সম্মেলন শেষ করলে হয়তো মসজিদে আগেই যাওয়া হতো।

কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে বেশি সময় লেগে যাওয়ায় মসজিদে পৌঁছতে প্রায় ১টা ৪০ মিনিট হয়ে যায়। আর এতেই যেনো বেঁচে যান তামিম, মুশফিক, তাইজুল, মিরাজরা। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ‘দেরি’ হয়ে যাওয়ায় বাস থেকে নেমেই তড়িঘড়ি করে মসজিদের পথে পা বাড়ান মুশফিক- তামিমরা। পথিমধ্যে তাদের আটকে দেন বাসের পাশেই গাড়িতে থাকা আহত এক নারী। তিনি মুশফিক-তামিমদের বারণ করেন সামনের দিকে যেতে।

ওই নারীই জানান, ওই মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে আর আশপাশের অনেকেই গুলিবিদ্ধ। এমন দুঃসংবাদে ক্রিকেটাররা প্রথমে নিজেদের টিম বাসে অবস্থান নিলেও ওই জায়গায় কোনো নিরাপত্তা কর্মী বা নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় কাউকে দেখতে পাননি।

তাই উপস্থিত বুদ্ধিতে বাস থেকে হাগলি পার্কের মধ্য দিয়ে আবার মাঠে ফিরে আসেন সবাই। প্রাণে বেঁচে যান বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা।

পরে স্টেডিয়ামের ড্রেসিংরুমে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সবাই মিলে চলে যান টিম হোটেলে। সেখানে আগেই ছিলেন দলের কোচিং স্টাফরা।

এমন ভয়াবহ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ইতিমধ্যে তামিম ইকবাল নিজের টুইটার একাউন্টে লিখেছেন, ‘পুরো দল গোলাগুলির হাত থেকে বেঁচে গেলো। খুবই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা, সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

বাংলাদেশ দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম তার টুইটে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ্‌! ক্রাইস্টচার্চে হামলার ঘটনা থেকে আল্লাহ্‌ আজ আমাদের বাঁচিয়ে দিলেন। আমরা অনেক বেশি ভাগ্যবান। কখনোই এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে চাই না। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here