ঈদের লম্বা ছুটিঃ মুখরিত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

0
1253
মুখরিত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। ছবিঃ সংগৃহীত।

খবর৭১ঃ

ঈদের ছুটিতে মুখরিত হয়ে ওঠেছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) থেকে শনিবার (১৭ আগস্ট) পর্যন্ত কক্সবাজারে সমাগম হবে অন্তত তিন লাখ পর্যটক। অপরদিকে পর্যটক নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে সৈকতসহ হিমছড়ি, ইনানী, রামু, মহেশখালী ও আশপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

কক্সবাজার তারকামানের হোটেল দি কক্সটুডের পরিচালক (অপারেশান) মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে তারকামানের হোটেলগুলোতে ৮০ ভাগ রুম বুকিং হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের কারণে এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় একটু সাড়া কম। তবে আমরা আশা করছি, মঙ্গলবার থেকে পুরোদমে পর্যটকরা কক্সবাজার আসা শুরু করবেন। পর্যটকদের ভ্রমণ আনন্দদায়ক করতে হোটেলগুলোতে নানা আয়োজন রাখা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি ছুটির সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি যোগ হয়ে গত বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) থেকে ঈদের ছুটি শুরু হলেও মূলত ঈদের পরদিন মঙ্গলবার থেকে পুরোদমে পর্যটক আসা শুরু করবেন কক্সবাজারে। এ কয়দিনে এখানকার প্রায় ৪শ’ হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউস শতভাগ বুকিং হয়ে যাবে। আশা করা হচ্ছে, এ পাঁচ দিনে অন্তত তিন লাখ পর্যটক কক্সবাজারে বেড়াতে আসবেন।

শনিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা সৈকত সবুজ বলেন, সমুদ্রের প্রতি আমার টান দীর্ঘদিনের। তাই ছুটি পেলেই এখানে ছুটে আসি। এবার ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে কক্সবাজার এসেছি। ভালো সময় কাটছে।

মুখরিত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
ইনানী সমুদ্র সৈকত। ছবিঃ আমিনুল ইসলাম।

চাঁদপুর থেকে আসা এনামুল হক বলেন, সারা বছরই ব্যস্থতার মধ্যে সময় চলে যায়। তাই বন্ধ পেলেই একটু ঘোরাঘুরি করার সুযোগ হয়। আর কক্সবাজার তো অসাধারণ একটি জায়গা। এখানে এলেই মনটা কেন জানি ভালো হয়ে যায়। সাভারের মরিয়ম সুলতানার মতে, দেশে ভ্রমণের জন্য কক্সবাজার হচ্ছে আসাধারণ একটি জায়গা। একমাত্র এখানেই আমরা একসঙ্গে সাগর এবং পাহাড় দেখতে পাই। সবাইকে নিয়ে অনেক ভালো সময় কাটাচ্ছি আমরা। ‘আর সবচেয়ে বড় বিষয়, এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুব ভালো।’ যোগ করেন তিনি।

কক্সবাজার রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির নেতা হোটেল ঝাউবনের সত্ত্বাধিকারী মো. আলী জানান, এখানকার চার শতাধিক আবাসিক হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউসে সোয়া লক্ষাধিক মানুষের রাত যাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। থাকা-খাওয়ার সুবিধার কারণে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো থাকায় পর্যটকরা ভ্রমণের জন্য কক্সবাজারে ছুটে আসেন। তাই কক্সবাজারে দিন দিন পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে।

তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে যেসব পর্যটকরা কক্সবাজার বেড়াতে আসবেন, তাদের সর্বোচ্চ সেবাটা দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আশা করি, পর্যটকরা ভ্রমণের ভালো স্মৃতি নিয়ে কক্সবাজার থেকে ফিরবেন।

অন্যদিকে পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ, জেলা পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদারসহ নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।

মঙ্গলবার থেকে শনিবার পর্যন্ত পাঁচ দিনে কক্সবাজারে প্রায় তিন লাখ পর্যটক সমাগম হবে এমন আশাবাদ কক্সবাজার ট্যুরিস্ট বেশি পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জিল্লুর রহমানের।

মুখরিত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
ইনানী সমুদ্র সৈকত। ছবিঃ সংগৃহীত।

তিনি বলেন, পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে শুধু কক্সবাজার সৈকত নয়, সৈকতের আশপাশে যেসব পর্যটন কেন্দ্রগুলো আছে হিমছড়ি, ইনানী, মেরিন ড্রাইভরোডসহ অন্য স্পটগুলোতে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

জিল্লুর রহমান বলেন, বিশেষ করে এ কয়দিন বাড়তি চাপ সামলানোর পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here