মুক্তারপুর ব্রিজ থেকে ফেলে দেয়া সেই বাবুকে নদীতে খুঁজে বেড়াচ্ছেন স্বজনরা

0
356

খবর৭১ঃনারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে বেড়ানোর কথা বলে আহাদ বাবু নামে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে মুক্তারপুর ব্রিজ থেকে নদীতে ফেলে দেয়ার ৪ দিনেও কোনো সন্ধান মেলেনি।

নিখোঁজ শিশুর বাবা আ. মজিদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ধলেশ্বরী ও মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রলার দিয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছেন।

আ. মজিদের বড় ছেলে আল আমিন বলেন, ফতুল্লার ভোলাইল শান্তি নগর এলাকার আবুল হোসেনের বাড়িতে পরিবার পরিজন নিয়ে ভাড়ায় বসবাস করি। আমরা তিন ভাইয়ের মধ্যে আহাদ বাবু ছোট। বড় আমি ও মেঝ রহুল আমিন।

বাবা ও আমরা দুই ভাই গার্মেন্টে কাজ করি। বাবু মায়ের সঙ্গে বাসায় থাকে। একই বাড়ির ভাড়াটিয়া আমাদের পাশের ঘরে বসবাস করতেন লিয়ন ও তার স্ত্রী মৌসুমী। তাদের এক মাস পূর্বে একটি সন্তান হয়েছে। পাশাপাশি বাসা হওয়ায় সম্পর্ক গড়ে উঠে। সে সম্পর্কে আমার ছোট ভাই আহাদ বাবুকে নিয়ে আশপাশে বেড়ানোর কথা বলে ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় লিয়ন বাসা থেকে বের হয়।

এরপর থেকে লিয়ন ও বাবু নিখোঁজ ছিল। পরে খোঁজাখুঁজি করে তাদের না পেয়ে আমার বাবা মজিদ ফতুল্লা মডেল থানায় একটি জিডি করেন। এরপর দিন জানতে পেরেছি লিয়ন আমার ছোট ভাই বাবুকে মুক্তারপুর ব্রীজ থেকে নদীতে ফেলে দিয়েছে। ওই সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা দেখে লিয়নকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয়।

এরপর থেকে আমার বাবা ও আমিসহ পরিবারের অন্যসদস্যরা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধলেশ্বরী থেকে মেঘনা নদী পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ট্রলার দিয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছি। বাবা ও মা কাঁদতে কাঁদতে এখন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তারা বিশ্বাস করতে পারছে না বাবুকে মেরে ফেলা হয়েছে।

এ ঘটনার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আমিনুল হক জানান, মামলা হয়েছে। আসামি লিয়ন আদালতে জবানবন্দি দিয়ে দোষ স্বীকার করেছে। সে আদালতকে জানিয়েছে তার শিশু সন্তান অসুস্থ টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছে না। এজন্য অন্যের শিশু সন্তান বাবুকে আটক রেখে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করেছিল। এতে ব্যর্থ হয়ে মুক্তারপুর ব্রীজ থেকে বাবুকে নদী ফেলে দেয়।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here