মিয়ানমারে সহিংসতা ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগ মানছে ফেসবুক

0
262

খবর৭১ঃ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী গত বছর সেনাবাহিনীর হাতে যে নির্মম নিপীড়ন ও সহিংসতার শিকার হয়েছে তা ঠেকানোর কোনো চেষ্টা করেনি ফেসবুক। অথচ চাইলেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সামাজিক মাধ্যমটি রোহিঙ্গা নিধন বন্ধে বড় রকমের ভূমিকা রাখতে পারত। এই অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের এক মানবাধিকার সংস্থা বিজনেস ফর সোশ্যাল রেসপন্সিবেলিটি (বিএসআর)।
সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক সংস্থাটি সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের প্রতি মিয়ানমারে ভবিষ্যতে আরো সচেতন থাকারও সুপারিশ করেছে।

এসব সুপারিশের অন্যতম হলো ফেসবুকের নীতিমালা আরো কঠোরভাবে প্রয়োগ, মিয়ানমারের সরকারি কর্মকর্তা ও সিভিল সোসাইটির মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং সে দেশের অগ্রগতি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি নিয়মিত প্রকাশ করা।

আর বিএসআর আনীত এই অভিযোগ মেনেও নিয়েছে ফেসবুক। ফেসবুকের প্রোডাক্ট পলিসি ম্যানেজার অ্যালেক্স ওয়ারফকা এক পোস্টে বলেন, ‘ওই প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে, আমরা এক বছর আগে আমাদের প্রভাবশালী প্লাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে অফলাইন সহিংসতা হ্রাসে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেইনি। আমরা তাদের এই কথার সঙ্গে একমত হয়ে বলছি, আমাদের এ বিষয়ে আরো তৎপর হওয়া উচিত ছিলো।’

মিয়ানমারে ২০২০ সালে যে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে সেখানে যেন এরকম ভুল না হয় ফেসবুককে সে বিষয়েওে সতর্ক করে দিয়েছে বিএসআর ওই প্রতিবেদন। তারা বলছে, তখন ফেসবুক এবং হোয়াটসআপ ব্যবহার করে কেউ যেন কোনো ভুল তথ্য ছড়িয়ে নতুন কোনো সঙ্কট তৈরি করতে না পারে, সে বাপারেও কর্তৃপক্ষকে সজাগ থাকতে হবে।

এর আগে গত আগস্টে ফেসবুক এ কথা স্বীকার করেছিলো যে, তারা এই সামাজিক মাধ্যমটিতে রোহিঙ্গা বিরোধি ‘হেইট স্পিচ’ মুছে ফেলতে এবং এইসব ইউজারদের বাদ দিতে বিলম্ব করেছিল।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ আগস্টের পর থেকে মিয়ানমার সেনা নিপীড়নের মুখে দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। তারা কক্সবাজারের একাধিক ক্যাম্পে অবস্থান করছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে কোনো উদ্যোগ নেয়নি মিয়ানমার।

সূত্র: রয়টার্স

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here