মিয়ানমারের বিচার চেয়েছেন আসিয়ানের ১৩২ এমপি

0
403

খবর ৭১ঃমিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর নিধনযজ্ঞের জন্য দায়ীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারের মুখোমুখি করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পাঁচ দেশের ১৩২ জন এমপি।

এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেছেন, রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর নিপীড়ন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে মিয়ানমার সরকার এবং দেশটির সেনাবাহিনীর ওপর চাপ বাড়াতে হবে।

বিবৃতিদাতা আইনপ্রণেতারা ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর ও পূর্ব তিমুরের পার্লামেন্ট সমস্য। তাদের মধ্যে ২২জন আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটসের (এপিএইচআর) সদস্য।

রোহিঙ্গা সঙ্কটের এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগের দিন শুক্রবার এপিএইচআরের ওয়েবসাইটে ওই যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।

সেখানে বলা হয়, মিয়ানমার রোম সংবিধিতে স্বাক্ষর না করায় রোহিঙ্গা নিপীড়নের ঘটনায় তাদের বিচারের মুখোমুখি করার এখতিয়ার হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) নেই। এ অবস্থায় কেবল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদই পারে আইসিসির মাধ্যমে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরুর ব্যবস্থা করতে।

এপিএইচআরের চেয়ারপারসন মালয়েশিয়ার এমপি চার্লস সান্তিয়াগো বিবৃতিতে বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে হত্যাযজ্ঞ শুরু করার পর এক বছর পেরিয়ে গেল। ওই ঘটনায় দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করার কোনো লক্ষণ আমরা এ পর্যন্ত দেখিনি।

তার ভাষায়, ‘মিয়ানমার যেহেতু নিজেরা বিষয়টির তদন্ত করতে অনিচ্ছুক এবং অপারগ, সেহেতু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেই এখন জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এগিয়ে আসতে হবে।’

চার্লস সান্তিয়াগো বলেন, এ অঞ্চলের আরও ১৩১ জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আমি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানাই, মিয়ানমারের বিষয়টি যত দ্রুত সম্ভব আইসিসিতে পাঠান। মিয়ানমারে যারাই ওই ভয়ঙ্কর অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকুক না কেন, তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। তাদের ছেড়ে দিয়ে ভবিষ্যতে আবারও একই ধরনের বর্বরতা ঘটানোর সুযোগ আমরা দিতে পারি না।

বিবৃতিদাতা এমপিরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট আসিয়ানকেও এ বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ার তগিদ দিয়েছেন। আসিয়ানের সদস্য দেশ ইন্দোনেশিয়া আগামী বছর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যোগ দিচ্ছে অস্থায়ী সদস্য হিসেবে।

ইন্দোনেশিয়া এবং আসিয়ান যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধের জন্য মিয়ানমার সরকার ও দেশটির সেনাবাহিনীর ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করে- সে আহ্বানও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংগি লি যাতে মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো তদন্ত করার সুযোগ পান, সেজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন দক্ষিণ- পূর্ব এশিয়ার এই এমপিরা।

রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওই দমন-পীড়নের মুখে গতবছরের ২৫ অগাস্ট থেকে এ পর্যন্ত সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। অথচ তাদের ফেরত নেয়ার নামই নিচ্ছে না মিয়াানমার সরকার। বরং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কথা উঠলেই তারা নানা টালবাহানা করছে।

সূত্র: ইন্টারনেট
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here