নুসিং থোয়াই মার্মা, (বান্দরবান প্রতিনিধি) :
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদে’র নেতা কর্মীদের মিথ্যে’র মামলা দিয়ে হয়রানি করার প্রতিবাদে স্মারকলিপি দিয়েছে বান্দরবান জেলা শাখা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ জনসংহতি সমিতি।
বান্দরবানে জনসংহতি সমিতির নেতা কর্মীদের বিক্ষোভ সমাবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। সংগঠনের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে নেতা কর্মীরা বৃহস্পতিবার সকালে প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়।
সকাল থেকেই পুলিশ জনসংহতি সমিতির মধ্যমপাড়াস্থ কার্যালয়টি ঘেরাও করে রাখে। নেতা কর্মীদের কার্যালয় থেকে বের হতে দেয়নি পুলিশ। একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পুলিশ কার্যালয়টি ঘেরাও করে রাখে।
পরে কড়া পুলিশি পাহারায় কয়েকজন নেতা কর্মী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন।
জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বনিক ও পুলিশ সুপার সজ্ঞিত কুমার রায় নেতাদের বলেন, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধে বার বার অভিযোগ আসছে। এছাড়া আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগও তোলেন তাঁরা।
তবে সংগঠনের নেতারা অভিযোগ অস্বীকার করেন ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন চালানোর প্রতিশ্রুতি দেন।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং মারমা জানান, গত এক বছর ধরে অপহরণ চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন ঘটনায় জনসংহতি সমিতিকে দোষারোপ করে সংগঠনের অর্ধশত নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। একের পর এক মামলার কারনে নেতা কর্মীরা গ্রেফতার ও হয়রানির ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ১৫ জন নেতা কর্মী জেল হাজতে আছেন।
খবর ৭১/ইঃ