মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা ‘ছাত্রলীগ কখনও মুখে গামছা বেঁধে হামলা করে না’

0
290

খবর ৭১ঃকুষ্টিয়া আদালত প্রাঙ্গণে আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ জড়িত নয় বলে দাবি করেছে জেলা ছাত্রলীগ।

কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত তুষার বলেছেন, ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধু আদর্শের সৈনিক। ছাত্রলীগ কখনও মুখে গামছা বেঁধে হামলা করে না। এটা বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জের।

তিনি বলেন, আদালত চত্বরে মাহবুবুর রহমান বিএনপিপন্থী আইনজীবী ও স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক শেষে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা তাকে আদালত চত্বর থেকে বের করে নিয়ে যায়। তারপর দুর্বৃত্তরা মুখে গামছা বেঁধে মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা চালায়।

সাধারণ সম্পাদক সাদ আহমেদ বলেন, বিএনপির মধ্যে মতবিরোধ আছে। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম ও বর্তমান সভাপতি মেহেদী আহমেদ রুমীর রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরেই মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা হয়েছে।

তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, যদি ছাত্রলীগ হামলা করে তাহলে বিএনপিপন্থী একজন আইনজীবীও আহত হলো না কেন?

মঙ্গলবার শহরের একটি রেস্টুরেন্টে দুপুর ১২টায় জেলা ছাত্রলীগ এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই দুই নেতা এসব কথা বলেন।

তবে বিএনপি নেতারা বলছেন, ছাত্রলীগের এ ধরনের অভিযোগ বানোয়াট ও মিথ্যা। তারা দাবি করছেন, ওই দিনের হামলার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রলীগের ৮ নেতাকে চিহ্নিত করা গেছে। তারা সবাই জেলা ও কলেজ ছাত্রলীগের পদধারী নেতা।

হামলার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাংলাদেশ সম্মলিত পেশাজীবী পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সদস্যসচিব ও জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামিম-উল হাসান অপু বলেন, মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার ভিডিও ফুটেজ দেখলেই বোঝা যাবে কারা হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে এবং কারা সরাসরি হামলায় অংশ নিয়েছে। ফুটেজে স্পষ্ট ছাত্রলীগের ৮ নেতাকে চেনা গেছে। তারা সবাই জেলা ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা।

গত রোববার বিকালে মানহানির মামলায় জামিন নিতে কুষ্টিয়ায় আদালত চত্বরে হামলার শিকার হন আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

আদালত চত্বরে তার ওপর কয়েক দফায় এ হামলা হয়। ইটপাথর ও লাঠির আঘাতে তার গাল, কপাল ও মাথার পেছনে কেটে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে ইয়াসির আরাফাত বলেন, আমরা প্রশাসনকে বলেছি, আপনারা খুঁজে বের করেন কে দোষী। আমরা তো এই ন্যক্কারজনক ঘটনা চাই না। আমরা চাই, সুষ্ঠু বিচার হোক। কারা হামলা করেছে, দোষী বের হয়ে আসুক। দোষী বের হয়ে এলে বোঝা যাবে, কারা এর সঙ্গে জড়িত।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি নিজে মামলার বাদী। তাই আদালতে গিয়েছিলাম। বিকাল ৩টার মধ্যে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমি আদালত চত্বর ত্যাগ করি। হামলার ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই ছাত্রলীগ জড়িত নয়।

হামলা প্রসঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক তুষার বলেন, হামলার সময় সেখানে ছাত্রলীগের কেউ ছিল না। সেখানে অনেকে মুখোশ পরা ছিল। আসলে ছাত্রলীগ কখনও মুখোশ পরে হামলা করে না, এটা হামলা করে কারা আপনারা অতীতে দেখেছেন, জঙ্গিরা চেহারা গোপন করে মুখোশ পরে হামলা করে। বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যা করার জন্য এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য জামায়াত-বিএনপি এটা করার চেষ্টা করতে পারে।

এদিকে ছাত্রলীগের এসব অভিযোগের বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ বলেন, আমাদের নিজেদের মধ্যে কোনো বিরোধিতা নেই। বরং উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট। বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা। ভিডিও ফুটেজ দেখলেই বোঝা যাবে কারা কী করেছে।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here