মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে ভারত দাবি চীনের

0
386

খবর ৭১: মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারত হস্তক্ষেপ করায় দেশটির চলমান রাজনৈতিক সংকট বাড়ছে বলে এক মন্তব্য প্রতিবেদনে দাবি করেছে চীনা গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস।

চীনের চাহরার ইনস্টিটিউট ও চাইনিজ অ্যাসোসিয়েশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের সিনিয়ার রিসার্চ ফেলো চেং জিঝংয়ের লেখা ওই মন্তব্যে বলা হয়, ‘সবাই জানে প্রতিবেশী দেশ মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের কারণে দেশটির রাজনৈতিক সংকট বাড়ছে।

দেশটিকে চলমান এই সংকট শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রাখা ও আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া মালদ্বীপ সরকারের প্রত্যেকটি অংশের জন্য বাধ্যতামূলক।’

গ্লোবাল টাইমসের ওই নিবন্ধে আরো বলা হয়েছে, ‘ভারত দক্ষিণ এশিয়াকে নিজের বলয়ে ধরে রাখতে চায় ও কোনো দেশ অন্য দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হলে, তাতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। গত মাসে ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত বলেন, চীনের প্রভাব ঠেকাতে নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও আফগানিস্তানের মতো দেশগুলোকে হাতে রাখতে হবে।’

ভুটানের পররাষ্ট্রনীতি ও প্রতিরক্ষানীতি ইতোমধ্যে দখলে নিয়েছে ভারত। ভারত প্রতিবেশী দেশে কূটনৈতিকভাবে ও সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করে বলেও লিখেছে গ্লোবাল টাইমস। তাদের নিবন্ধে লেখা হয়েছে, ১৯৭১ সালে ইন্দো-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরুর মাধ্যমে পাকিস্তানকে ভেঙে দিয়েছে। ১৯৭৫ সালে স্বাধীন সিকিমকে ভারত নিজের রাজ্যে পরিণত করে। তামিলদের টাইগারদের দমনে ১৯৮৭ সালে দেশটি শ্রীলংকায় সেনা পাঠায় ও ১৯৮৮ সালে মালদ্বীপে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টি করে বলেও গ্লোবাল টাইমস লিখেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো যখন নিজেদের সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে সচেতন হয়ে উঠছে, তখনই ভারত তাদের ওপর অযাচিতভাবে হস্তক্ষেপ করছে। এসব দেশকে নিজেদের স্বার্থে ভারতের বলয় থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বানও জানানো হয়েছে গ্লোবাল টাইমসের নিবন্ধে।

ভারত এখন মনে করতে শুরু করেছে, এই অঞ্চলে তার নেতৃত্বের আকাঙ্ক্ষা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। প্রথমে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করে নেপাল। পরে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগে যোগ দেয়ার ঘোষণা দেয়। পরে মালদ্বীপও ভারতীয় বলয় থেকে সরে আসে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here