মার্চ থেকে ১০ টাকা কেজি চাল

0
1118

খবর৭১: চাল নিয়ে চালবাজি চলেছে গোটা বছরজুড়েই। নতুন বছরেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। আর তাতে নাভিঃশ্বাস উঠেছে খেটে খাওয়া গরিবের। পাঁচ সদস্যের পরিবারের জন্য কোনও একজন দিনমুজুরকে প্রতিদিন সর্বনিম্ন ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে চাল কিনতে হয়েছে। আর তাতে দেশের অসংখ্য দরিদ্র পরিবারে পুষ্টি খাটতি আরও প্রকট হয়েছে। কারণ, প্রতিদিনের চাল কিনতেই যখন একজন স্বল্প আয়ের মানুষের হিমশিম খেতে হয় সেখানে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের সুযোগ আর কতটাই থাকে?

চালের দাম কমানোর কয়েক দফা আশ্বাস ও ঘোষণা দিলেও বিভিন্ন সময় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রকৃতপক্ষে চালের দাম খুব একটা কমেনি। তারপরও সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- শিগগিরই চালের বাজার স্থিতিশীল হবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র ছিল বরাবরই ভিন্ন।

২০১৬ সালে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হলে কিছুদিনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ ওঠে- এ কর্মসূচির আওতায় বিত্তশালীরা চাল পাচ্ছেন ও দরিদ্ররা বঞ্চিত হচ্ছেন।

একপর্যায়ে দরিদ্রদের তালিকাও সংশোধন করা হলেও সরকারি গুদামে চালের মজুদ নেই জানিয়ে কয়েক মাস পরই খাদ্যবান্ধব এ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

এবার আবারও চালের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়। আগামী মার্চ মাস থেকে আবারও ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করা হবে।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় অতিদরিদ্র ৫০ লাখ পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হবে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য বছরে ৭ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চালের প্রয়োজন পড়বে।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) খাদ্য অধিদফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছিল। টানা পাঁচ মাস চাল বিতরণ করা হয়। ওই কর্মসূচির আওতায় একটি স্লোগান ঠিক করা হয়, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ।’

চলতি আমন মৌসুমে সরকার ৬ লাখ মেট্রিকটন চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জানিয়েছে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে ৫ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকিটাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংগ্রহ করা হবে।’

“বর্তমানে সরকারের কাছে ১৪ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে। এর মধ্যে ১০ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং বাকিটা গম”- যোগ করেন কামরুল ইসলাম।

এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহবুদ্দিন আহমদ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য খাদ্য অধিদফতরের সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ও সহযোগিতাপূর্ণ ভূমিকার রাখার আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বদরুল হাসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here