খবর৭১:৫ নভম্বের (সোমবার) থেকে ইরানের ওপর এ যাবৎকালের ‘সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা’ জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় দফার এই নিষেধাজ্ঞায় তেল রফতানি ও বহির্বিশ্বের সঙ্গে দেশটির ব্যাংকিং লেনদেনকে টার্গেট করা হয়।
কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। বিভিন্ন দেশের বিরোধিতার কারণে নিজের অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হলেন ট্রাম্প।
গতকাল মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইরান বিষয়ক বিশেষ কর্মকর্তা ব্রায়ান হুক জানিয়েছেন, ইরান থেকে বিদ্যুৎ ও গ্যাস আমদানি অব্যাহত রাখতে পারবে ইরাক। ইরানবিরোধী নিষেধাজ্ঞা ইরাক মানবে না বলে ঘোষণা দেওয়ার পর নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসলো আমেরিকা।
যুক্তরাষ্ট্র যে আট দেশকে ইরান থেকে তেল কেনার বিষয়ে ছাড় দিয়েছে ইরাক তার বাইরে। প্রতিবেশী ইরান হচ্ছে ইরাকের প্রধান বাণিজ্যিক সহযোগী দেশ।
এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতকে তেল কেনার পাশাপাশি ইরানে নৌবন্দর নির্মাণেও ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওমান উপসাগরে ইরানের চবাহার এলাকায় বন্দর নির্মাণের কাজ চালিয়ে যেতে পারবে ভারত। এছাড়া এই বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনের জন্য রেলপথ তৈরির কাজও চালানো যাবে আগের মতই।
ভারত, ইরান ও আফগানিস্তানের মধ্যে এক চুক্তির ভিত্তিতে বন্দরটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর ফলে তিনটি দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহণ সহজ হবে।
খবর৭১/জি