মান্দা থানা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজে অ্যাডমিট কার্ড বিতরণে টাকা নেয়ার অভিযোগ

0
266

লোকমান আলী, নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দা উপজেলার ‘মান্দা থানা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ’ এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে রশিদ ছাড়াই অ্যাডমিট কার্ড ও সিসিটিভি ক্যামেরা কেনার নামে ৪৫০ টাকা করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। গত ২৫ জানুয়ারী প্রতিষ্ঠানের ১৭০ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে রশিদ ছাড়াই এ টাকা নেয়া হয়।

প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, এবার এসএসসি পরীক্ষায় সাধারন শিক্ষার্থী ১৩০ জন, কারিগরী শিক্ষার্থী ৩৫ জন এবং গত বছরের ৫ জন অংশ নেবেন। ফরম ফিলাপের জন্য ২ হাজার টাকা এবং কোচিং ক্লাসের জন্য প্রতিজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নেয়া হয়। গত ২৫ জানুয়ারীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান হয়।

অ্যাডমিট কার্ড ও সিসিটিভি ক্যামেরা কেনার নামে প্রতিজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৪৫০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। যা বাধ্যতা মূলক করা হয়। এছাড়া প্রাইভেট পড়তেও বাধ্য করা হয় শিক্ষার্থীদের। টেষ্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে প্রতিটি বিষয়ের জন্য অভিভাবকদের কাছে বিষয়ভিত্তিক ১০০ টাকার ফরম পাঠানো হয়। পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে দেয়ার নাম করে টাকা নেয়ার অভিযোগ আছে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। যারা প্রাইভেট পড়ে তাদের দিকে শিক্ষকরা বেশি গুরুত্ব দেয়। ফলে ক্লাসে শিক্ষকদের তেমন মনোযোগ না থাকায় অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তেমন বুঝতেও পারেনা। আর সব শিক্ষার্থীদের পক্ষে প্রাইভেট পড়াও সম্ভব হয়না। প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার পর যখন বিভিন্ন অযুহাতে টাকা নেয়া হয় তখন বাধ্য হয়ে অনেক শিক্ষার্থী চলে যায় অনত্র।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ করে বলেন, অ্যাডমিট কার্ড নেয়ার সময় বিদ্যুৎ বিল এবং সিসিটিভি ক্যামেরা কেনার জন্য যারা টাকা দিতে পারেনি তাদেরকে তাৎক্ষণিক অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়নি। এছাড়া লাইব্রেরী থেকে পূর্বে বই নিতে ১০ টাকা জমা দিতে হতো। কিন্তু বর্তমানে ৬০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার অযুহাতে প্রতিজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০০ টাকার ফরম নিতে এবং প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করানো হয়। এক্ষেত্রে প্রাইভেট না পড়লেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন বাবদ সমপরিমান টাকা রশিদ ছাড়াই জোরপূর্বক নেয়া হয়।

আবুল হোসেন নামে এক অভিভাবক বলেন, বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানে টাকা নেয়া হয়। মেয়েকে ভর্তি করা হয়েছে তাই বাধ্য হয়ে টাকা দিতে হচ্ছে। অনেক গরীব পরিবারের ছেলেমেয়েরা আছে তাদের পক্ষেতো এভাবে টাকা দেয়া সম্ভব নয়।

মান্দা থানা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, অনুষ্ঠানের নাম করে নেয়া হয়েছে। কিছু টাকা বিদায় অনুষ্ঠানে খরচ হয়েছে। বাকী টাকা সিসি টিভি ক্যামেরার জন্য রেখে দেয়া হয়েছে। আর প্রতিবেদককে সাক্ষাতে দেখা করে কথা বলতে বলেন।

প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুজাউদ্দৌলা বিপ্লবের মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here