মানুষের জীবন বাঁচাতে স্বামী-সন্তান শহীদ, আমি গর্বিত

0
296

খবর৭১ঃ আমার স্বামী শহীদ ডা. নাইম রশিদ ও সন্তান শহীদ তালহা খুব ভালো মানুষ ছিল। তারা মানুষের জীবন বাঁচাতে গিয়েই শহীদ হয়েছেন। আমার জন্য এটা খুবই গর্বের। আমি এজন্য দুঃখিত নই।’

আবেততাড়িত হয়ে বলে যাওয়া কথাগুলো নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত পাকিস্তানের চিকিৎসক ডা. নাঈম রশীদের স্ত্রীর। সম্প্রতি পাকিস্তানের জিও টিভিকে দেখা এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন এই মহীয়সী নারী।

শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলায় নিহত ৫০ জনের মধ্যে রয়েছেন পাকিস্তানের ডা. নাঈম রশীদ। এ ঘটনায় নাইম রশিদের স্ত্রী হারিয়েছেন তার প্রাণপ্রিয় স্বামী ডা. নাঈম রশিদ এবং আশা-ভরসা ও সান্তনার প্রতীক ২১ বছরের টগবগে যুবক ছেলে তালহাকে। স্বামী ও সন্তানকে হারিয়েও এ মুসলিম নারী সর্বোচ্চ ধৈর্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। নিজেকে গর্বিত মনে করছেন।

কারণ তার স্বামী ও সন্তান উভয়ে হামলায় আক্রান্ত মানুষকে নিরাপত্তা দিতে গিয়েই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন। তার আবেগঘন বক্তব্য মুসলিম উম্মাহর হৃদয়কে নাড়া দিয়েছে। মানবিকতা ও নৈতিকার প্রতি নিজেদের বিলিয়ে দিতেও উদ্বুদ্ধ করেছে।

নাঈম রশীদের স্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসী টেরেন্ট ব্রেন্টনের জন্য দুঃখ হয়। তার অন্তর বিদ্বেষ ও ঘৃণায় ভরপুর ছিল। মানুষের প্রতি তার হৃদয়ে কোনো সহানুভূতি ও ভালোবাসা ছিল না। কারণ মানুষের আর্তনাদ ও বাঁচার চেষ্টা তাকে হত্যাযজ্ঞ থেকে বিরত রাখেনি।

ওই নারী বলেন, আমাদের অন্তরে ভালোবাসা আছে। আমরা মানুষকে ভালোবাসতে জানি। আমার স্বামী ও সন্তানের হৃদয়েও মানুষের প্রতি রয়েছে অদম্য ভালোবাসা। যে ভালোবাসার টানে তারা নিজেদের কথা না ভেবে মানুষের নিরাপত্তা নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন বলেও জানা তিনি।

তিনি আরও বলেন, আল্লাহর হুকুম পালন করতে গিয়ে যারা শহীদ হন তারাদের জন্য দু:খ নেই। তারা তো জান্নাতি। দ্বীন তো এটাই কামনা করে। আমি গর্বিত যে, স্বামী ও সন্তান শহীদী মৃত্যু লাভ করেছে।

প্রসঙ্গত, ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল নুর ও লিনউড মসজিদে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হন ৫০ জন। কট্টর শেতাঙ্গ বর্ণবাদী ২৮ বছরের ব্রেন্টন টেরেন্ট এ হত্যাযজ্ঞ চালায়। নিহতদের মধ্যে মধ্যে পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছেন ৯ জন এবং বাংলাদেশের ৫ জন।
খবর৭১ঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here