মো. আব্দুল বাছিত, সিফডিয়া, সিলেটঃঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ডিএমডি ও চীফ এন্টি মানি লন্ডারিং কম্পায়েস অফিসার মো. শাকির আমিন চৌধুরী বলেছেন, দেশের বেশির ভাগ অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমেই পাচার হয়ে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবৈধভাবে অর্থপাচার হয়ে থাকে। যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথকে রুদ্ধ করে দিচ্ছে। এসব অর্থপাচার রোধে ব্যাংকারদেরকে যেমন সতর্ক হতে হবে, তেমনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকেও যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে।
ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, প্রধান কার্যালয়ের এএমএল ও সিএফটি বিভাগের উদ্যোগে ‘এন্টি মানি লন্ডারিং এন্ড প্রিভেনশন অব ট্রেড বেইজড মানি লন্ডারিং’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল শনিবার সকালে নগরীর মিরাবাজারস্থ একটি অভিজাত হোটেলের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি মো. শাকির আমিন চৌধুরী অর্থপাচার রোধে ব্যাংকারদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা বক্তব্য প্রদান করেন। কালো টাকা তথা হুন্ডি ব্যবসাকে বন্ধ করার জন্য ব্যাংকারদেরকে সেবাদানে আরো বেশি আন্তরিক হওয়ার জন্য আহবান জানান। গ্রাহক সঠিক সেবা পেলে অন্যায় পথে পা বাড়াবে না বলেও মন্তব্য করেন। উক্ত কর্মশালায় ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড-এর লালদিঘীরপাড়, উপশহর, মৌলভীবাজার, মদিনা মার্কেট, গোয়ালাবাজার, হবিগঞ্জ এবং ঢাকা ব্যাংক সেকুউরিটিজ লিমিটেড, সিলেট-এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। শনিবার সকাল সাড়ে নয়টায় দিনব্যাপী এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, লালদিঘীরপাড় শাখার ব্যবস্থাপক ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আজাদ উদ্দিন এবং পরবর্তীতে তিনি কর্মশালায় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, লালদিঘীরপাড় শাখার ব্যবস্থাপক ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আজাদ উদ্দিনের স্বাগত বক্তব্যে এবং ঢাকা ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় কর্মশালায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনামূলক ও করণীয় সম্পর্কে কী-নোট পেপার উপস্থাপন করেন ইভিপি ও ডেপুটি চীফ এন্টি মানি লন্ডারিং কম্পøায়েন্স অফিসার মো. ফখরুল ইসলাম, এএমএল এন্ড সিএফটি ডিভিশনের সিনিয়র এসিন্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শাহিনুল ইসলাম। কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা ব্যাংক উপশহর শাখার ব্যবস্থাপক ও এফভিপি সুমন বনিক, মদিনা মার্কেট শাখার ব্যবস্থাপক এফভিপি ফজলে আহমদ রাব্বী, হবিগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক ও এফএভিপি মো. মোরশেদ আলম এবং মৌলভীবাজার শাখা ব্যবস্থাপক ও এফএভিপি মো. সদরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জামাল উদ্দিন বারভূঁইয়া। কর্মশালায় কুইজ টেস্ট, প্রশ্নোত্তর পর্ব এবং শেষ পর্যায়ে উপস্থিত কর্মকর্তাবৃন্দের মধ্যে সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।
এছাড়া বক্তারা সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে ব্যাংকের গ্রাহক এবং সেবাগ্রহণকারীদের যাবতীয় কর্মপন্থা, গতিবিধি এবং ব্যাংকের অর্থ আদান-প্রদানের ব্যাপারে সঠিকভাবে তত্ত্বাবধানের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। এসম্পর্কে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনাও প্রদান করেন।
খবর৭১/ইঃ