মানহানির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন প্রত্যাহার

0
242

খবর৭১:জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার রায়ের জাবেদা নকল (অবিকল সত্যায়িত অনুলিপি) গতকালও পাওয়া যায়নি। গতকাল দুপুরের পর থেকেই বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা নকলের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ-৫ এর আদালতে অপেক্ষা করছিলেন।

কিন্তু প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় নকল সরবরাহ দেওয়া সম্ভব হয়নি।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জানান, নকল আজও (বুধবার) হাতে পাওয়া যায়নি। তবে আদালত থেকে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (আজ) নকল সরবরাহ দেওয়া যাবে। আজ জাবেদা নকল পেলে আগামী রবিবার হাইকোর্টে আপিল দায়ের হবে। আপিলের সঙ্গে জামিনের আবেদন করা হবে।

এর আগে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আশা করছিলেন, গতকালই নকল পাওয়া যাবে। খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জানান, নকল সরবরাহ পাওয়ার জন্য তিন হাজারটি ফলিও (বিশেষ স্ট্যাম্প) আদালতে দাখিল করা হয়েছে। তিন হাজার পৃষ্ঠার নকল সরবরাহ করতে একটু বেশি সময়ই লাগে বলে সংশ্লিষ্ট আদালতের একজন কর্মচারি জানান।

এদিকে গতকাল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের একটি মানহানির মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পরে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। জানা গেছে, ঢাকার মহানগর হাকিম আহসান হাবীবের কাছে এ আবেদন দাখিল করেন মামলার বাদী জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।

গত বছরের ১২ অক্টোবর এই মামলাটিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এরপর থেকে বারবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের জন্য তারিখ ধার্য করা হলেও পুলিশ ওই পরোয়ানা তামিল করেনি। এই মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৯৮১ সালের ১৭ মে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এলে জিয়াউর রহমান তাকে হুমকি দেন ও অবরুদ্ধ করে রাখেন। ২০০১ সালে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপি সরকার গঠন করে। খালেদা জিয়া স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার আলবদরও নেতাকর্মীদের মন্ত্রী-এমপি করে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তাদের গাড়িতে তুলে দিয়েছেন, যা মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় পতাকা ও মানচিত্রের অবমাননার শামিল। এবং মানহানির শামিল।

খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়ার ছয়দিন পর গতকাল বাদী এ বি সিদ্দিকী আদালতে দরখাস্ত দিয়ে বলেন, এই মামলায় অনেক আগেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়ে আছে। কিন্তু ওই পরোয়ানা তামিল করা হচ্ছে না। তিনি যেহেতু কারাগারেও আছেন তাই এই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন জানাচ্ছি।

সকালের দিকে শুনানির পর ম্যাজিস্ট্রেট পরে আদেশ হবে বলে জানান। তবে যেহেতু গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বলে গ্রেপ্তার দেখানোর দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের তাই বাদী দরখাস্তটি ফেরত নেন। ফলে খালেদা জিয়াকে নতুন কোনো মামলা গতকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। তবে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ও গেটকো দুর্নীতি মামলায় গত সোমবার হাজিরা পরোয়ানা কারাগারেও পাঠানো হয়েছে।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এ আগামী রবিবার অভিযোগ গঠন বিষয়ে দিন ধার্য রয়েছে। ওই মামলায় খালেদা জিয়াকে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থপিত অস্থায়ী আদালতে এই মামলার বিচার চলবে।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here