মাদারীপুরে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামীসহ ৩ জনের মৃত্যুদন্ড

0
210

এস. এম. রাসেল মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুর সদর উপজেলার মাদ্রা গ্রামের শাহজাদী বেগম নামে এক গৃহবধু হত্যার অভিযোগে স্বামীসহ ৩ জনের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। মাদারীপুরের জেলা ও দায়রা জজ শরীফ উদ্দিন আহমেদ এই আদেশ প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছে শরীয়তপুর জেলার চন্দ্রপুর গ্রামের খালেক সরদারের পুত্র বাবু সরদার(২৬)মাদারীপুর শহরের রকেট বিড়ি রোডের শুকুর খার পুত্র মো: উজ্জল খা(২৭) মাজেদ চৌকিদারের পুত্র নাইম চৌকিদার(২৫)।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর পৌরসভার রকেট বিড়ি এলাকার খালেক সরদারের ছেলে বাবু সরদারের সাথে মাদ্রা এলাকার শাহ আলম খানের মেয়ে শাহজাদী আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক হয়। এই সম্পর্কে সূত্রে ধরে তারা বিয়ে করেন। বাবুর সাথে বিয়ের আগে শাহজাদীর একাধিক যুবকের সাথে শারিরিক সম্পর্ক ছিলো। এই শারিরিক সম্পর্কের ফলে শাহজাদী বিয়ের তিন মাসে পরই সন্তান প্রসব করে।এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শাহজাদীকে হত্যার পরিকল্পনা করে বাবু সরদার। বাবুর বন্ধু নাইম চৌকিদার, উজ্জল খান ২০১৩ সালে ২৮ জুইলাই সন্ধ্যায় পলিকল্পিত ভাবে হত্যা করে লাশ গুম করে। পরে ২০১৩ সালে ১১ আগষ্ট নিহত শাহজাদীর মা নাছিমা বেগম বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় নিহতের স্বামী বাবু সরদার ও তার বাবা মাকে আসামী করা হয়। পরে পুলিশ তদন্তে বাবুর বাবা মা নির্দোষ প্রমানিত হওয়ায় তাদের বাদ দিয়ে বাবুর বন্ধু নাইম ও উজ্জলের নাম অর্ন্তভূক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। বাবু আদালতে ১৬৪ ধারায় জবান বন্দিতে হত্যার লোমহর্শক বর্ণনা দেয়। হত্যা করে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।
মাদারীপুর জজ কোর্টর পিপি এডভোকেট মোঃ এমরান লতিফ বলেন, হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শাহজাদীর স্বামীসহ তিনজনতে আদালম মৃত্যু দন্ডের আদেশ দিয়েছে।
সরকার পক্ষের কৌশলী মোঃ এমরান লতিফ আরো জানান, সদর উপজেলার মাদ্রা গ্রামের শাহআলম খান মেয়ে শাহাজাদীকে প্রেমের সর্ম্পকে বাবু সরদারের সাথে ২০১২ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর নাইমের সাথে পরকীয়া প্রেমের সুত্র ধরে দাম্পত্য কলহ সৃস্টি হয়। এক পর্যায়ে ২০১৩ সালে ২৮ জুলাই বাবু সরদার স্ত্রীকে বেড়াতে নিয়ে যাবার নাম করে কৌশলে ঘর থেকে বেড়িয়ে নিকটস্থ আড়িয়াল খা নদীর পাড়ে নিয়ে গেলে দন্ডপ্রাপ্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাহাজাদীকে গলাকেটে খুন করে। এ ঘটনায় নিহতের মাতা নাছিমা বেগম বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ ৯ আগস্ট বাহেরচর কাতলা গ্রামের জনৈক খালেকের বাড়ি সামনে ধনচে ক্ষেতের মধ্যে মাথাবিহীন শাহাজাদীর লাশ এবং পরে অদুরে তার কাটা মাথা উদ্ধার করে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে এস আই সুলতান মাহমুদ এবং সিরাজুল ইসলাম দন্ডপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। আদালতের বিচারক উপযুক্ত প্রমানাদি শেষে এ রায় প্রদান করেন। রায়ের সময় দন্ডপ্রাপ্ত উজ্জল পলাতক ছিলো।

খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here