মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

0
327

খবর ৭১: মাদক পাচার বা চোরাচালানের সঙ্গে কোন জনপ্রতিনিধি বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে ছাড় দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

তিনি বলেন, ‘মাদক নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাস করে সরকার। জনপ্রতিনিধি বা বাহিনীর সদস্য যেই হোক না কেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। মাদকের সঙ্গে কারও সম্পৃক্ততা পেলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

আজ রবিবার রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘সীমান্ত সমস্যা ও সমাধান সম্পর্কিত মতবিনিময় সভা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আলোচনায় দেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মহাপরিচালকসহ সীমান্ত এলাকার ৩৩ জন সংসদ সদস্য অংশ নেন।

সভায় সংসদ সদস্যরা কী প্রস্তাব দিয়েছেন সে ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাদক এদেশে তৈরি হয় না, ভারত ও মিয়ানমার থেকে আসে। এ মাদক আসা বন্ধ করার জন্য এবং চোরাচালান রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মাননীয় সংসদ সদস্যরা পরামর্শ দিয়েছেন। টেকনাফ দিয়ে ইয়াবাসহ যে বিভিন্ন মাদক আসে তা বন্ধ করতে পরামর্শ দিয়েছেন তারা।’

সীমান্তে চোরাচালান রোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে- এর জবাবে তিনি বলেন, ‘সীমান্ত সংরক্ষিত রাখতে কোস্টগার্ডকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। বিজিবিকে আরও ১৫ হাজার জনবল নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সীমান্তে চেকপোস্ট বাড়ানো হচ্ছে এবং রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে।’

পুলিশও যাতে সীমান্তে নজর রাখে সেজন্য সংসদ সদস্যরা প্রস্তাব দিয়েছেন বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু এলাকায় সমন্বয়ের অভাব আছে। সব বাহিনীর মধ্যে যাতে সমন্বয় থাকে সেজন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। চোরাচালান বন্ধে সমন্বয় থাকা উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছেন সংসদ সদস্যরা।’

মাদকের বিস্তার রোধে সরকার আরও কঠোর হচ্ছে জানিয়ে কামাল বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনকেও যুগোপযোগী করার চেষ্টা চলছে। আগামী সংসদে নতুন খসড়া আইন উত্থাপন করা হবে।’

সীমান্তে হত্যা কমে এসেছে বলে দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হত্যার সংখ্যা ক্রমেই কমে আসছে। ২০০৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ৬৮, এখন ২০১৭ সালে এসে তা ২১ জনে নেমে এসেছে ।’

এ মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্যরা ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, কোস্টগার্ড মহাপরিচালক রিয়াল অ্যাডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দিন আহমেদ।

খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here