মাদকবিরোধী অভিযানে কোনো নিরীহ মানুষকে ধরা হচ্ছে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

0
231

খবর৭১:  চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে কোনো নিরীহ মানুষকে ধরা হচ্ছেনা। কোনো বন্দুকযুদ্ধও হচ্ছে না। মানুষ মারার কোন পরিকল্পনা সরকারের নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযানে গেলে যেসব মাদক ব্যবসায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মুখোমুখি হচ্ছে তাদের ভ্রামমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সোমবার বিকালে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের বিষেশায়িত ২৫ অ্যাম্বুলেন্স উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ পর্যন্ত ১২ হাজার মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর তাদের সর্বোচ্চ ৬ মাসের সাজা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে। সারাদেশে র‌্যাব-পুলিশের বিশেষ অভিযানের ফলে কারাগারে ধারণ ক্ষমতার প্রায় তিনগুণ বন্দি রয়েছে। তবুও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, আমরা মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি, এ যুদ্ধে জয়ী হতে চাই। আমরা একটি মেধাবী জাতি গড়তে চাই, মাদকমুক্ত যুবসমাজ দেখতে চাই। এজন্য মাদকের বিরুদ্ধে নামা যুদ্ধ জয়ী না হওয়া পর্যন্ত চলবে। তবে আমরা কাউকে ক্রসফায়ার দিয়ে মারছি না। দেশে কাউকে ক্রসফায়ার দিয়ে মারার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারাদেশে তরুণ ও যুব সমাজকে ধ্বংসকারী মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এতে প্রকৃত অপরাধীদেরই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। যদিও নিরীহ দু’একজন আটক হয়েছিল, তাদের যাচাই-বাছাই শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিষেশায়িত ২৫টি অ্যাম্বুলেন্স উদ্বোধন শেষে অ্যাম্বুলেন্সের চাবি ফায়ার সার্ভিসের জিডি মেজর জেনারেল আলী আহমেদের হাতে তুলে দেন মন্ত্রী। এরপর মন্ত্রী বলেন, আগে ফায়ার সার্ভিস সম্পর্কে মানুষের নেতিবাচক ধারণা ছিল। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর এখন মানুষের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য ও আস্থাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। আমাদের গৃহীত ব্যবস্থার কারণে তাদের সক্ষমতা আগের চেয়ে বহুগুণ বেড়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এখন জঙ্গি দমন অভিযানেও জীবনবাজি রেখে অংশ গ্রহণ করছে। তাদের সেবাগুলোকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দেশের সকল উপজেলা শহরে একটি করে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন করার কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসককে অত্যাধুনিক ২৫টি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হলো। আরও ৫০টি অ্যাম্বুলেন্স খুব শিগগিরই দেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here