আশাশুনি সাব-রেজিষ্ট্রারের যোগসাজসে সরকারি সম্পত্তি হস্তান্তরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

0
283

খবর৭১: সাতক্ষীরার আশাশুনি সাব-রেজিষ্ট্রারের যোগসাজসে ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে নাংলা গ্রামের মাষ্টার রফিকুল ইসলাম সেলিম গংরা এক ব্যক্তির মাছের ঘের দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন আশাশুনি উপজেলার দক্ষিন একসরা গ্রামের মাহবুবর রহমান মোল্যার ছেলে মোঃ রোকনুজ্জামান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আশাশুনি উপজেলার একসরা মৌজার এস,এ-৬৩ নং ভিপি খাতয়ানের ১৫৫৩/১৫৯৫ দাগের ৭ দশমিক ৪ একর সম্পত্তি উপজেলা ভূমি অফিস থেকে ডি.সি.আর মূলে বন্দোবস্ত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে আসছি। কিন্তু গত ২০১৭ সালের ৭ আগষ্ট আশাশুনির সাব-রেজিষ্ট্রার দুলাল কুমার চৌধুরী নংলা গ্রামের মাষ্টার রফিকুল ইসলাম সেলিমের যোগসাজসে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময় ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে সরকারি ভি.পি তালিকাভূক্ত সম্পত্তি ২৩৫৯/২০১৭ নং রেজিস্ট্রিকৃত হেবাবিল এওয়াজ নামা দলিল করে ব্যক্তি মালিকানায় হস্তান্তর করে দেয়। এতে আমি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হই। একই সাথে সরকারও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এঘটনার পর আমার এক আবেদনের প্রেক্ষিতে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালায়ের সচিবের প্রতিনিধি ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর আশাশুনি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে এসে সরেজমিনে তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। উক্ত তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সাব-রেজিষ্ট্রার দুলাল কুমার চৌধুরীর বিরুদ্ধে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। পরে চলতি বছরের ২ এপ্রিল তাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বদলির আদেশ পাওয়ার পর সাব-রেজিষ্ট্রার দুলাল কুমার আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং তার দোষর রফিকুল ইমলাম সেলিমের নেতৃত্বে সন্ত্রসী দিয়ে দখল করে নেয়। বর্তমানে ঘেরটি রফিকুল, মান্নান মোল্যা ও মোন্তাজুল মোল্যা জবর দখল করে রেখেছে। মাছের ঘের না থাকায় আমি আর্থিক অনাটনে মানবেতর জীবন যাপন করছি।

তিনি আরো বলেন, আশাশুনির সাব-রেজিষ্ট্রার দুলাল কুমার চৌধুরীর অত্যাচারে ভূমি রেজিস্ট্রি করতে আসা সাধারন জনগণ দারুনভাবে ভোগান্তি শিকার হয়েছেন। কাগজপত্র সঠিক থাকার পরও মোটা অংকের ঘুষ নেয়ার জন্য দাতা ও গ্রহিতাকে ৪/৫ বার করে ঘুরিয়েছেন। চাহিদা মাফিক টাকা না পেলে তিনি কোন দলিল রেজিস্ট্রি করেন না। আমরা বিশ্বস্থ সূত্রে জানতে পেরেছি দূর্নীতিবাজ সাব-রেজিষ্ট্রার দুলাল কুমার চৌধুরী ফের আশাশুনি অফিসে আসার চেষ্টা করছে। তিনি অবার এই অফিসে আসলে আশাশুনির মানুষ দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। সাব-রেজিষ্ট্রার দুলাল কুমার চৌধুরী যাতে পুনরায় আশাশুনি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে না আসতে পারেন এবং তার দূর্নীতির সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here